আজ এই স্বপ্নের দিন। কারণ, আজই সেই প্রতিভার জন্মবার্ষিকী, যাকে এককথায় মা সরস্বতীর জীবন্ত রূপ বলা হয়ে থাকে। লতাজীর জন্মদিনে, শ্রদ্ধার্ঘ জানিয়েছেন তাবড় তাবড় শিল্পীদের বেশিরভাগ। কারণ, অনেকেই বলে থাকেন তারা মা সরস্বতী দেখেন নি, কিন্তু লতাজীকে দেখেছেন। প্রসঙ্গে, এক নিদারুণ মুহূর্তের কথা উল্লেখ করলেন বাংলাদেশের নাইটিঙ্গেল রুনা লায়লা।
যদিও, রুনা লায়লা যে বাংলাদেশের একথা মানতে অস্বীকার করেন অনেকেই। রুনা, ভারতের শিল্পী... এমনই দাবি করেন বেশিরভাগ। কিন্তু, তাঁর সঙ্গে লতাজীর যে সুন্দর সাক্ষাৎ হয়েছিল। আজও ভোলেননি তিনি। রুনা শো করতে গিয়েছিলেন মুম্বাইয়ে। সেখানে গিয়ে একটাই আবদার ছিল, লতাজীর সঙ্গে দেখা করবেন। কিন্তু আদৌ সম্ভব হবে কিনা, সেই বিষয়ে নিশ্চিত ছিলেন না। এক সাক্ষাৎকারে, রুনা লায়লা স্মৃতির পাতা হাতড়ে জানিয়েছিলেন সেদিনের কথা।
বলেন, "আমি যেদিন মুম্বাই যাই আমায় ওঁরা জিজ্ঞেস করেছিলেন, কারওর সঙ্গে দেখা করতে চান? আমি একজনের কথা বলেছিলাম। যদি, লতা জী পারেন তবে তাঁর সঙ্গেই। ওরা সাফ জানান যে, লতাজি সহজে আসে না। উনি সেভাবে কোনও অনুষ্ঠানেও যান না। এটুকু শুনে তো, আমি একটু শান্ত হয়ে গেলাম। মন ভেঙে গেল। যে কী আর করব।" কিন্তু...
স্বপ্নকে একবার ছুঁয়ে দেখার ইচ্ছে যখন মন থেকে থাকে তখন ঈশ্বর সেই ইচ্ছে পূরণ করতে বাধ্য। একদিন স্টেজে দাঁড়িয়ে রিহার্সাল করছেন তখনই হঠাৎ অবাক! কে যেন হেঁটে আসছেন? রুনা বলেন.. "আমি ব্যাকস্টেজে রিহার্সাল করছি। হঠাৎ করে দেখলাম, স্টেজডোর দিয়ে সাদা শাড়ি পড়া, একজন মহিলা হাতে লাল গোলাপ নিয়ে এগিয়ে আসছেন। আমি স্তম্ভিত হয়ে দাঁড়িয়ে আছি। যে হতে পারে না এটা হতে পারে না। কাছে যখন এসে গিয়েছেন আমার ভ্রম ভাঙল। আমি দেখে অবাক... লতাজি! ছুটে গিয়েছিলাম। পা, ছুঁয়ে সালাম দিলাম। উনি আমার মাথায় হাত দিয়ে আশীর্বাদ করেছিলেন।"
সেদিনের সেই মুহূর্ত আজও ভোলেননি। রুণার সেই কথা মনে করতে গিয়ে কেঁদে ফেলার মত অবস্থা। বলেন, "সেদিনের সেই ছবিতে কী লেখা ছিল জানো? ওয়ান নাইটিঙ্গেল মেট অ্যানাদার! এটা আমার জন্য সবথেকে বড় পাওয়া।"