Lata Mangeshkar comments on Ranu: ইন্টারনেটে ভাইরাল হয়েছিল রানু মণ্ডলের গলায় ‘এক প্যার কা নগমা হ্যায়’। লতাকণ্ঠী হিসেবে প্রায় রাতারাতিই তাঁকে বিখ্যাত করে তোলেন নেটিজেনরা। পরিবার-পরিত্যক্ত, রানাঘাট স্টেশনে পড়ে থাকা রানু মণ্ডলকে তার ঠিক পরেই ডেকে নেন হিমেশ রেশমিঁয়া। হিমেশের পরিচালনায় রানুর গলায় রেকর্ড করা ‘তেরি মেরি কাহানি’ সম্প্রতি ইউটিউবে আসতেই ভাইরাল। এই গোটা ঘটনা প্রসঙ্গে সম্প্রতি প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হয় সঙ্গীত সম্রাজ্ঞী লতা মঙ্গেশকরের কাছে। কারণ তাঁকে নকল করেই তো লাইমলাইটে এসেছেন রানু। কিংবদন্তি গায়িকা জানিয়েছেন, তিনি রানুর জন্য খুশি কিন্তু নকলনবিশি কোনও শিল্পীকেই বেশি দূর নিয়ে যেতে পারে না।
একটি সংবাদ সংস্থাকে লতা মঙ্গেশকর জানান, ”আমার নাম এবং কাজ যদি কোনও মানুষের জীবনে ভালো করে তবে সেটা আমার সৌভাগ্য।” কিন্তু কিংবদন্তি গায়িকা এখানেই থেমে থাকেননি। নকল বিষয়টা যে তিনি মোটেই পছন্দ করেন না, সেটা খুব একটা রাখঢাক না করেই জানিয়েছেন। নতুন গায়ক-গায়িকাদের জন্য এক রকম উপদেশই দিয়েছেন বলা যায়।

আরও পড়ুন: রানুর মন্তব্য বেফাঁস! কী জানালেন তাঁর ঘনিষ্ঠরা?
তিনি বলেন, ”আমার এটাও মনে হয় যে সফল হতে গেলে নকলনবিশি খুব একটা ভরসাযোগ্য এবং দীর্ঘস্থায়ী সহায় নয়। আমার, কিশোরদার, রফি সাহেবের, মুকেশ ভাইয়ার অথবা আশার গানগুলি গেয়ে নতুন গায়ক-গায়িকারা অল্প সময়ের জন্য কিছু মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারেন। কিন্তু সেটা বেশিদিন টিকবে না।”
হিমেশ রেশমিঁয়া তাঁর ছবি ‘হ্যাপি হার্ডি অ্যান্ড হীর’-এর জন্য রানুকে দিয়ে রেকর্ড করিয়েছেন দুটি গান– তেরি মেরি কাহানি ও আদত। প্রথমটিতে হিমেশের সঙ্গে যুগলবন্দীতে গেয়েছেন রানু। আর ইন্টারনেটে সাড়া ফেলে দেওয়ার পরে রাতারাতি পাল্টে গিয়েছে রানু মণ্ডলের জীবন।