হিন্দু শাস্ত্র মেনেই চন্দন শয্যায় পঞ্চতন্ত্রে বিলীন হয়েছেন সকলের প্রিয় লতা মঙ্গেশকর ( Lata Mangeshkar )। সম্পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সেদিন সকলের প্রিয় গায়িকা পা দিয়েছেন পরলোকে। তার সুরের যাদুতে এখন স্বর্গলোক মুখরিত। আজই শেষকৃত্যের অন্তিম অধ্যায় সম্পন্ন হয়েছে - সংগৃহীত অস্থি গোদাবরী নদীতে ভাসানো হয় ঠিক সকাল দশটা নাগাদ।
জন্মসূত্রে নাসিকের মানুষ লতার অস্থি সেই জায়গায় গিয়েই ভাসিয়েছেন পরিবারের সদস্যরা। বোন ঊষা মঙ্গেশকর, ভাইপো আদিনাথ মঙ্গেশকর এবং পরিবারের সদস্যরা সকাল ১০ টা নাগাদ একজোট হন গোদা ঘাটের পাশে। গোদাবরী নদীর তীরে পবিত্র রামকুন্ডে নিমজ্জিত করা হয়েছে তার অস্থিভষ্ম।
নাসিক পুরোহিত সঙ্ঘের প্রধান সদস্য, সতীশ শুক্লা সম্পূর্ণ কার্যক্রম নিজে দাঁড়িয়ে থেকে সম্পাদন করেছেন। পরিবারের সদস্যরা ছাড়াও নাসিক সিভিক কমিশনার কৈলাস যাদব এবং সেই এলাকার রাজনীতিবিদরাও উপস্থিত ছিলেন। শহরে তত্ত্বাবধান ছিল দেখবার মত! লতাজীর অস্থি বিসর্জন বলে কথা, নিজেদের মত করেই নিয়ম বিধির আয়োজন করা হয়েছিল। ছোট্ট একটি স্টেজ এবং প্যান্ডেল - প্রিয় শিল্পীর বিদায় লগ্নে খামতি ছিল না কিছুতেই।
শহরে শান্তি বজায় রাখতে সিকিউরিটি থেকে সুষ্ঠ ব্যবস্থাপনা সব মিলিয়ে কাজ ভালভাবেই শেষ হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ৯২ বছর বয়েসে মাল্টি অর্গান ফেলিওর হওয়াতেই মৃত্যু হয় লতাজীর। শেষ শ্রদ্ধা জানাতে পৌঁছেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, রণবীর কাপুর, সচিন তেন্ডুলকর এবং শাহরুখ খান।