"গর্বিত ভারতীয় হিসেবে, দেশের প্রতি আমার পূর্ণ আস্থা রয়েছে, আমাদের আভ্যন্তরীণ সমস্যাগুলো আমরা নিজেরাই সমাধান করতে পারব। জয় হিন্দ…", টুইট করেছিলেন লতা মঙ্গেশকর। আর তাতেই ঘটে বিপত্তি! সুরসম্রাজ্ঞীর এই টুইটেই নেটজনতার একাংশ 'কপি-পেস্ট' প্রভাব দেখতে পেয়েছে। তাঁদের কথায়, "লতা মঙ্গেশকর (Lata Mangeshkar) লেখার জন্য খাটুনিও করেননি, মোটা ভাইয়ের লেখাটাই ছেপে দিয়েছেন!" অতঃপর বর্ষীয়াণ গায়িকাকে সমালোচনায় বিদ্ধ করতেও পিছপা হননি তাঁরা।
প্রসঙ্গত, কৃষক আন্দোলনের (Farmer's Protest) সমর্থনে টুইট করে গেরুয়া শিবিরের বিড়ম্বনা বাড়িয়েছেন পপস্টার রিহানা (Rihanna) এবং পরিবেশকর্মী গ্রেটা থুনবার্গ (Greta Thunberg)। সেই প্রেক্ষিতেই সমালোচনা করে সোচ্চার হয়েছিলেন করণ জোহর, অক্ষয় কুমার, অজয় দেবগন, একতা কাপুর থেকে শচিন তেন্ডুলকরের মতো ব্যক্তিত্বরা। প্রত্যেকের মুখেই একসুর- “ভারত-বিরোধী মিথ্যা কোনও প্রোপাগান্ডার ফাঁদে পা দেওয়া উচিত নয়। একত্রিত হয়ে এই বিদেশি অপপ্রচার রুখতে হবে।” সেই প্রেক্ষিতেই মুখ খুলেছিলেন সুরসম্রাজ্ঞী। আর তা করতে গিয়েই নেটজনতার রোষানলে পড়লেন।
উল্লেখ্য, নরেন্দ্র মোদীকে 'ভাই' বলে সম্বোধন করে প্রতিবারই তাঁর জন্মদিনে শুভেচ্ছাবার্তা পাঠান লতা মঙ্গেশকর। গেরুয়া শিবিরের প্রতি তার আস্থা রয়েছে বলেও একাধিকবার তাঁকে মন্তব্য করতে দেখা গিয়েছে। সেই সূত্রেই রিহানা, গ্রেটা থুনবার্গের টুইট তাঁর মনে ধরেনি। অতঃপর তিনিও বলিউডের একাংশের মতোই দেশবাসীকে প্রোপাগান্ডার ফাঁদে পা না দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন অমিত শাহর টুইট শেয়ার করে। সেই জন্যই নেটজনতার একাংশের কাছে লতা মঙ্গেশকরকে সমালোচনার শিকার হতে হল।
নেটিজেনদের কথায়, "লতা মঙ্গেশকর দেশের মানুষের পাশে না থেকে, কেন্দ্রীয় সরকারের সুরে সুর কেন মেলাচ্ছেন?" শুধু তাই নয়, কিশোর কুমার, মহম্মদ রফিদের পিছনে ফেলে দিয়ে লতা মঙ্গেশকর কীভাবে ভারতরত্ন পান? সেই প্রশ্ন তুলেও বর্ষীয়ান গায়িকাকে আক্রমণ করেন কেউ। আবার কাউকে বা বলতে দেখা যায়, "লতাজির বর্তমানে যেরকম শারীরিক অবস্থা, তাতে তাঁর লেখার ক্ষমতা নেই। 'মোটা ভাই' যা লিখে দিয়েছেন, তাই তিনি নিজের বলে ছেপে দিয়েছেন।"