Advertisment

গানের 'রিমিক্স' একেবারেই অপছন্দ ছিল লতাজি’র, রেকর্ডিং সংস্থার কাছে বন্ধের আর্জিও জানান তিনি

তিনি রেকর্ডিং সংস্থাগুলির কাছে অনুরোধ করেন, ‘গানের শুদ্ধতা বজার রাখার’।

author-image
IE Bangla Entertainment Desk
New Update
NULL

গানের 'রিমিক্স' একেবারেই অপছন্দ ছিল লতাজি’র, রেকর্ডিং সংস্থার কাছে এগুলি বন্ধের আর্জিও জানান তিনি

প্রয়াত সুর সম্রাজ্ঞী লতা মঙ্গেশকর। ‘ভারতরত্ন’ লতা মঙ্গেশকরের প্রয়াণে শোকাহত গোটা দেশ। ”লতাজি’র কৃতিত্ব অতুলনীয় থাকবে”, টুইটে শোকজ্ঞাপন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের। ”লতাদিদির কাছ থেকে সবসময় অগাধ স্নেহ পেয়েছি। এটাকে আমি আমার সম্মান বলে মনে করি।” টুইট বার্তায় লিখলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। একই সঙ্গে সুর সম্রাজ্ঞী লতা মঙ্গেশকরের প্রয়াণে শোকজ্ঞাপন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের।

Advertisment

শোকবার্তায় মুখ্যমন্ত্রী এদিন লিখেছেন, ”ভারতের প্রয়াত আইকন, ভারতরত্ন লতা মঙ্গেশকরকে আমার হৃদয়গ্রাহী শ্রদ্ধা জানাই। তাঁর পরিবার এবং কোটি কোটি গুণমুগ্ধের প্রতি আমার আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি। ভারতের নাইটিঙ্গেলের মৃত্যুতে গভীর দুঃখ প্রকাশ করছি। গোটা পৃথিবী জুড়ে তাঁর সমস্ত ভক্ত এবং অনুগামীদের মতো, আমিও তাঁর কণ্ঠস্বরে মুগ্ধ হয়েছিলাম এবং কৃতজ্ঞ বোধ করেছিলাম। তিনি সঠিক অর্থেই ভারতের নাইটিঙ্গল।”

এদিকে, লতা মঙ্গেশকরের প্রয়াণে দু’দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছে ভারত সরকার। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁর শোকবার্তায় লিখেছেন, ”লতা দিদির কাছ থেকে সবসময় অগাধ স্নেহ পেয়েছি। এটাকে আমি আমার সম্মান বলে মনে করি। তাঁর সঙ্গে আমার সব স্মৃতি অবিস্মরণীয় থাকবে। লতা দিদির প্রয়াণে গোটা ভারতবাসীর পাশাপাশি আমিও শোকাহত। তাঁর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেছি। সমবেদনা জানিয়েছি। ওম শান্তি।” টুইটে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ লিখেছেন, ”ভারতরত্ন লতাজির কৃতিত্ব অতুলনীয় থাকবে।”

সুর সম্রাজ্ঞী লতা মঙ্গেশকর আজ আর নেই। তিনি মানব হৃদয়ে আজীবন বেঁচে থাকবেন তাঁর গানের মধ্যে দিয়ে। তবে লতা মঙ্গেশকর বরাবরই রিমিক্স সংস্কৃতির বিরুদ্ধে ছিলেন। ২০১৮ সালে এই বিষয়ে একটি নোটও লিখেছিলেন। কী লিখেছিলেন তিনি তাতে? তিনি লেখেন, "আমি শুনছি যে আজকাল এমনই হচ্ছে, এবং গানটির কৃতিত্ব অন্য কাউকে দেওয়া হচ্ছে... মূল সুরকে নষ্ট করার জন্য, নির্বিচারে গানের কথা পরিবর্তন করা হচ্ছে এবং গানের মধ্যে সস্তার চিন্তা-ভাবনা যোগ করা হচ্ছে। এই সব অযৌক্তিক আচরণ আমাকে কষ্ট দেয়,"।

সেই সঙ্গে তিনি রেকর্ডিং সংস্থাগুলির কাছে অনুরোধ করেন, ‘গানের শুদ্ধতা বজার রাখার’। তিনি বলেন ‘প্রতিটি গান খুব ভালবাসা ও নিষ্ঠার সঙ্গে তৈরি করা হয়... একটি গানকে সুন্দর এবং অর্থবহ করার জন্য সকলেই আন্তরিক প্রচেষ্ঠা করেন... আমাদের সংগীতের মুল সুর এবং কথাকে পরিবর্তিত করে রিমিক্স করা উচিত নয় এবং সঙ্গীতকে আমাদের সমাজ ও সংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতীক হিসাবে সম্মান করা উচিত।" রিমিক্সের আগে অবশ্যই গানের মুল সুর এবং কথা এক রাখারও আবেদন জানিয়েছিলেন তিনি। 

তিনি আরও বলেছিলেন যে এই গানগুলির "শুদ্ধতা বজায় রাখা" রেকর্ডিং সংস্থাগুলির উপর নির্ভর করে তবে "তারা দুঃখজনকভাবে এটি ভুলে গেছে"। এপ্রসঙ্গে যখন 'দাগ' চলচিত্রের লতাজীর অনবদ্য গান, ‘Ni Main Yaar Manana Ni’ গানের রিমিক্স করা হয়েছিল তখন তিনি তাতে প্রচণ্ড ভাবে বিরক্ত হয়েছিলেন এবং এক সাক্ষাতকারে তিনি তার ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেছিলেন, “আমি এই রিমিক্স শুনিনি, আর শুনতেই চাইনা” নীতিগতভাবে, আমি সবসময়ই এই ধরনের রিমিক্সের বিরোধিতা করে আসছি”। ব্যতিক্রমী প্রতিভার জন্য, তিনি ভারতরত্ন, পদ্ম বিভূষণ, পদ্মভূষণ এবং দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার সহ অসংখ্য পুরস্কারে ভূষিত হন।

remix culture Lata Mangeshkar
Advertisment