কেউ রাজনীতির ময়দানে 'শিক্ষানবীশ' হিসেবে অভিষেক ঘটিয়েই টিকিট পাচ্ছেন, আবার কেউ বা আনুগত্য দেখিয়েও টিকিট না পাওয়ার ক্ষোভে দল-ত্য়াগী হচ্ছেন! একুশের ভোটযুদ্ধের আগে সরগরম রাজ্য-রাজনীতি। সবুজ-গেরুয়া দুই শিবিরের অন্দরেই টিকিট চাওয়া-পাওয়া নিয়ে ক্ষোভ। নিত্যদিনই দলীয় কোন্দলের ঘটনা প্রকাশ্যে আসছে। এবার সেই প্রেক্ষিতেই তৃণমূল-বিজেপিকে কটাক্ষ করলেন পরিচালক কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায় (Kamaleswar Mukherjee)।
রাজ্য রাজনীতির এই দলবদল, দলত্যাগের ‘ট্রেন্ড’কে বিঁধলেন অতি সুচারু শব্দচয়নে। কোনওরকম কড়া ভাষার প্রয়োগ নয়। শুধুমাত্র বর্তমান রাজনৈতিক-সামাজিক প্রেক্ষাপটকে আয়নার মতো তুলে ধরলেন তাঁর ফেসবুক পোস্টে। লিখলেন, "টিকিটের এত লোভ দুই দলেই বিক্ষোভ!"অতঃপর বামপন্থী মনোভাবাপন্ন পরিচালক যে টিকিট না পাওয়ার ক্ষোভে চলতি এই পালাবদলের হাওয়াকেই কটাক্ষ করেছেন, তা বোধহয় আর আলাদা করে বলার অপেক্ষা রাখে না।
বিজেপির তৃতীয় ও চতুর্থ দফার প্রার্থীতালিকা প্রকাশের পরই জায়গায় জায়গায় গোষ্ঠীদ্বন্দ বিক্ষোভ। কলকাতার হেস্টিংসে বিজেপির নির্বাচনী কার্যালয়ে এসে হাঙ্গামা করেন বিজেপি (BJP) কর্মীরা। চুঁচুড়া, ডায়মন্ড হারবার, উলুবেড়িয়া ও আলিপুরদুয়ারেও একই চিত্র। প্রার্থী নিয়ে বিক্ষোভ দেখা গিয়েছে তৃণমূলের (TMC) অন্দরেও। রাজ চক্রবর্তী, সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় ও লাভলি মৈত্রর মতো নবাগত তারকা প্রার্থীদের কথা উল্লেখ্য। তবে গেরুয়া শিবিরের তুলনায় অপেক্ষাকৃত কম। ওদিকে আবার, বেহালা পূর্ব থেকে অভিনেত্রী পায়েল সরকারকে প্রার্থী করায় অপমানিত শোভন চট্টোপাধ্যায়, বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপির সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করেছেন। বর্তমান রাজনীতির এই উত্তাল সময় নিয়েই মুখ খুলেছেন কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়।
একুশের বিধানসভা নির্বাচনে (West Bengal Assembly Election 2021) বাংলার ঘাস-ফুলের জমিতে যখন পদ্ম ফোটাতে মরিয়া গেরুয়া শিবির, তখন বামেদের শীর্ণকায় কাঠামোতেও খড়-মাটি-রং লেপে দাঁড় করানোর চেষ্টা চলছে। বলা ভাল, বাংলার মসনদ দখলের লড়াইয়ে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বেঁধে শামিল বাম শিবিরও। লালদুর্গের প্রার্থীরাও সুর চড়িয়েছেন। তরুণ-তুর্কী প্রার্থীদের উত্থান, গগনভেদী স্লোগান রীতিমতো চোখে পড়ার মতোই। কমলেশ্বরের কথায়, "আঠাশের ব্রিগেড প্রতিপক্ষের বুকে কাঁপন ধরিয়ে দিয়েছে। ব্রিগেডের এই আবেগ যদি বুথ পর্যন্ত ছড়ায়, ভোট লুঠ না হয়- রাজ্যে শীঘ্রই বদল আসবে বলে বিশ্বাস।"