নর্থ আমেরিকার বঙ্গ সম্মেলনে গুরুতর অপমানিত পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তী। বর্ষীয়ান কিংবদন্তিকে এহেন হেনস্থার শিকার হতে হবে ভাবনার অতীত। পণ্ডিতজী নিজেই একটি মেলের মাধ্যমে জানিয়েছিলেন এই ঘটনা। কী ঘটেছিল আসলে?
Advertisment
নর্থ আমেরিকা বেঙ্গল কনফারেন্সে গিয়েই পণ্ডিতজীকে চূড়ান্ত অপমানিত হতে হয়। অনুষ্ঠানের সময়সীমা কমিয়ে দেওয়া থেকে শুরু করে অব্যবস্থা। সেই কারণেই, সরব হয়েছে শিল্পী সমাজ। লোপামুদ্রা মিত্র থেকে জয়তী চক্রবর্তী, অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায় গর্জে উঠেছেন সকলে। শিল্পীর অপমানে একজোট হয়েছে বাংলার শিল্পী-সমাজ। কিন্তু বেশ কিছু প্রশ্ন খাড়া করলেন লোপা। তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখলেন…
"এরপরও পশ্চিমবাংলার গায়ক-গায়িকা, ব্যান্ড - ঐক্যবদ্ধ হয়ে নিজেদের সম্মান রক্ষা করবে না। ‘আমরা’ হয়ে উঠতে পারবে না, ‘আমি’ হয়েই থাকবে। অদ্ভুত অপমান সহ্য করে চলতেই থাকবে, বছরের পর বছর। গা বাঁচিয়ে চলবে। আসলে আমরা নিজেরা কেউ আমাদের নিজেদের ভাষা, নিজেদের কাজকে আর শ্রদ্ধা করি না। বিদেশে গিয়ে অনুষ্ঠান করার নামে প্রতিনিয়ত হেনস্থা, শিল্পীদের আওয়াজ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।"
তিনি আরও লিখলেন, "শুধুমাত্র জায়গা হারানোর ভয়। এই করতে করতে বিন্দুও যে থাকবেনা, সে চিন্তা কারোর নেই। নাটক, সিনেমার কথা বলতে পারবো না। ওটা আমার বিষয় নয়। আজকাল নিজেকে তথা নিজেদের ঘেন্না করে আমার। দিন গালাগালি আমাকে। মনের জ্বালা থেকে বললাম। আর কিছুতে কিছু এসে যায় না। শুধু বিদেশের জন্য বলছি না, স্বদেশে , স্ব-শহরে কি হয়, সেটাও ভেবে দেখো, গানের বন্ধুরা।"
শিল্পীরা একজোটে আওয়াজ তুলেছেন। তাঁরা সোশ্যাল মিডিয়ায় তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। শিল্পীরা একসঙ্গে কলম ধরেছেন। তাঁরা বলছেন, "উত্তর আমেরিকা বঙ্গ সম্মেলন’২৩, আটলান্টিক সিটিতে ঘটে যাওয়া কিছু অনভিপ্রেত ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এই প্রতিবাদপত্র।পশ্চিমবঙ্গের শিল্পী,বিদ্বজ্জনের লাগাতার হেনস্থা এখন বঙ্গ সম্মেলনের অন্যতম আকর্ষণীয় এক অনুষ্ঠান।পূর্বের সম্মেলনগুলিতেও এমন উদাহরণ অসংখ্য।তবে এবারের সম্মেলন বোধহয় আগের সবকিছুকে ছাপিয়ে গিয়েছে। অব্যবস্থা,অসৌজন্য, অমার্জিত ব্যবহার , অসহযোগিতা শিল্পীদের আত্মসম্মানবোধে আঘাত করে চলেছে ক্রমাগত, ভদ্রতাবোধকে দুর্বলতা ভেবে একের পর এক অপমানসূচক ঘটনা সম্মেলন কর্তারা ঘটিয়েই চলেছেন।অতিথি শব্দটার সঙ্গে যে বিশ্বজনীন আতিথ্যের সংযোগ, তা তারা ভুলতে বসেছেন।"