সবে একদিন আগে সলমন খান ঘোষণা করেছিলেন, তিনি নিজের প্রযোজিত পরবর্তী ছবির নাম বদলে 'লাভরাত্রি' থেকে 'লাভযাত্রী' করেছেন, কারণ আগের নামটা নিয়ে কিছু গোষ্ঠির সমস্যা ছিল। কিন্তু এতেও চিড়ে ভিজল না। নতুন নামকরণের বিরুদ্ধে বুধবার এক হিন্দু গোষ্ঠী গুজরাট হাইকোর্টে আর্জি জানিয়েছে, যে এই নতুন নামও গ্রহণযোগ্য নয়। সনাতন ফাউন্ডেশন গত সপ্তাহেই একটি জনস্বার্থ মামলা করে দাবি জানায় যে ছবির নাম ও কিছু দৃশ্য বদলাতে হবে, নইলে হিন্দু ধর্মাবেগে আঘাত করার জন্য ছবিটি নিষিদ্ধ করা হবে।
দলটি বুধবার কোর্টকে জানায়, ছবির নতুন নামটাও মেনে নেওয়া যাচ্ছে না কারণ এখনও সেটা হিন্দু উৎসব নবরাত্রির মতোই শোনাচ্ছে। আবেদনকারীর আইনজীবী বি বি আগরওয়াল কোর্টে ছবির ট্যাগ লাইনও পেশ করেন, 'অ্য জার্নি অফ লাভ', যা ছবির পোস্টার ও প্রমোশনে রয়েছে, এবং বলেন ছবির নাম পরিবর্তন করে 'লাভ কি যাত্রা' করা যায়। মঙ্গলবারই ছবির নতুন নাম নিজেই টুইট করে জানান সলমন, আবার লেখেন এটা বানান ভুল নয়। নাম পরিবর্তনের পর আয়ূশ ও ওয়ারিনার নতুন পোস্টারও টুইট করেন ভাইজান।
তবে জনস্বার্থ মামলার শুনানির সময় বুধবার প্রযোজকের পক্ষে আইনজীবী এই দাবিকে 'অপরিণত' আখ্যা দিয়েছেন। তিনি বলেন, ছবিটা এখনও সেন্সর বোর্ড অবধিও যায়নি। জবাবে ডিভিশন বেঞ্চের চিফ জাস্টিস সওয়াল করেন, সেন্সর বোর্ডের সার্টিফিকেশন ছাড়া কী করে ছবির প্রোমো রিলিজ হয়? জাস্টিস রেড্ডি এদিন আরও বলেন, প্রয়োজন পড়লে বেঞ্চকে ছবিটা দেখতেও হতে পারে। আয়ূশ শর্মা ও ওয়ারিনা হুসেন অভিনীত এই ছবি হিন্দুদের নয় দিন ব্যাপী উৎসব নবরাত্রি নিয়ে। ছবির পরিচালকও নবাগত, নাম অভিরাজ মানিওয়ালা। এই বছরই ৫ অক্টোবর মুক্তি পাওয়ার কথা এই ছবির।
আরও পড়ুন, সলমনের নতুন প্রজেক্টের নাম ‘লাভরাত্রি’ বদলে হল ‘লাভযাত্রী’
তবে মামলাকারী আদালতে এই মর্মে আপিল করেন, যে ছবির নাম অনেক হিন্দুর মনে আঘাত হানতে পারে। ছবির বিষয় ও সংলাপ এখনও একই রয়েছে, যা যে কোনও হিন্দু ধর্মাবলম্বী মানুষের কাছে অপমানজনক। তিনি আরও বলেন, নবরাত্রি ভীষণ জনপ্রিয় উৎসব। আর এই উৎসবের মধ্যে দিয়ে যদি লাভরাত্রিতে গুজরাটকে দেখানো হয়, সেক্ষেত্রে এই রাজ্যেরও মানহানি হতে পারে।