সালটা তখন ২০০৯। মা সিরিয়াল তখন জনপ্রিয়তা পেয়েছে মারাত্মক। সন্ধ্যা হলেই টিভিতে তোমায় ছাড়া ঘুম আসেনা মা.. দেখতেন না এমন মানুষ খুব কমই আছেন। আর সেই জনপ্রিয় ধারাবাহিকে যে মানুষ সব থেকে বেশি, আদর এবং ভালোবাসা কুড়িয়েছিলেন তিনি হলেন তিথি বসু। অভিনেত্রী ঝিলিকের ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন।
মাকে হারিয়ে ফেলার পর ঝিলিকের জীবনের নানা টানাপোড়েন, শুরু হয় সেই গল্প। এত বছর হয়ে গেল ইন্ডাস্ট্রিতে। বর্তমানে তিনি সমাজমাধ্যমে বেশ জনপ্রিয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় তার অনেক ফলোয়ার। তুই আজ যখন ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলার তরফে তার সাথে যোগাযোগ করা হলো, সেই সময় সেটে কিভাবে চিলড্রেন ডে পালন করতেন, সেকথাই জানালেন অভিনেত্রী।
ছোটবেলার শুটিং ফ্লোর...
আমার মনে আছে আমার চিলড্রেন্সদের বিষয়ে যেটা ছিল, ২০০৯ থেকে - ২০১৬ সালে, ইন্ডাস্ট্রিতে যতদিন কাজ করেছি, সকলে আমাদের খুব আদর দিয়েছে। কারণ মা সিরিয়ালে ইন্ডাস্ট্রির প্রায় সব তারকাই কাজ করেছেন। আর এই আদরে এবং ভালোবাসা আমাকে একা নয়, আমার সঙ্গে যারা ছিলেন। মানে ভাবনা আয়ুস, দিতিপ্রিয়া, সকলকে সিনিয়র আর্টিস্টরা খুব আদর করত। অনেক সময় অন্য ফ্লোরে হয়তো অন্য সিরিয়ালের শুটিং হতো, তারাও এসে আমাদের সঙ্গে সময় কাটাতেন।
স্কুলের জায়গায় শুটিং ফ্লোর...
আমার ছোটবেলায় হয়তো আমি খুব একটা স্কুলে গিয়েও শিশু দিবস পালন করার সুযোগ পায়নি। কিন্তু ফ্লোরে আমাদের ভীষণ সুন্দর করে সেলিব্রেট হতো। যখন তখন ফ্লোরে কেক কাটা হচ্ছে। মাসের ২য় রবিবার করে আমরা সবাই মিলে একসঙ্গে খেতে যেতাম। মহুয়াদি এবং ভাস্বর দা থাকতেন আমাদের লিডার এভাবেই আমাদের শিশু দিবস হত।
কিছু পরিবর্তন....
আমাদের সময় যে আনন্দ ছিল সেখানে সোশ্যাল মিডিয়া ছিলনা। তাই সৃজনশীল মুহূর্তগুলো আমাদের মেমোরিতে গাঁথা রয়েছে। এখন সবটাই আমরা খুব সহজে জানতে পারি দেখতে পারি। এখনকার দিনের বাচ্চাদের সঙ্গে আমাদের জেনারেশনের পার্থক্য তো থাকবেই। আমরা বড় হয়ে গেছি আগের থেকে অনেক ম্যাচেওর হয়ে গেছি। কিন্তু আমি আমার মনের বাচ্চাটাকে সবসময় খুব বাঁচিয়ে রাখতে ভালোবাসি।
প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় এর কাছে...
বুম্বাদা আমাকে অনেক ছোটবেলায় দেখেছে। সেদিন একটা অনুষ্ঠানে দেখা হয়েছিল উনি তো ভাবতেই পারছেন না যে আমি এত বড় হয়ে গেছি। বলছিলেন যে আমার সেই ছোট্ট ছেলেটা আমি যাকে কোলে নিয়ে ঘুরে বেড়াতাম। ২০০৭ সালে বন্ধু ছবির শুটিং চলছে। সেখানে আমি বুম্বাদার ছেলে হয়েছিলাম। ১৭ বছর পরও মনে রেখেছেন উনি। ওদের কাছে আমি এখনো বাচ্চা। এই মুহূর্তগুলো আমার খুব মনে পড়ে। যারা ইন্ডাস্ট্রিতে এখন আসছে তাদের কাছে আমি অনেকটাই বড় হয়ে গেছি। আর আমার খুব ভালোও লাগে যে আমি বড় হয়ে গেছি।