রাজনৈতিক ময়দানের ব্যক্তিত্ব হলেও আদতে বেশ রঙিন মানুষ মদন মিত্র। টলিপাড়ার তারকাদের সঙ্গেও তাঁর বন্ধুত্ব। মাঝেমধ্যেই তারকাদের সঙ্গে ছবি তুলে তিনি শিরোনামে থাকেন। এবার অভিনেত্রী মধুমিতা সরকারের সঙ্গে এক গাড়িতে দেখা গেল কামারহাটির বিধায়ককে। তবে এখন অবশ্য তাঁর আরেকটি পরিচয়ও আছে। তিনি অভিনেতা। কারণ, সামনেই মদন মিত্রের সিনেমা মুক্তি পাবে। তবে মধুমিতার সঙ্গে বিধায়ক-অভিনেতাকে দেখে নেটপাড়ায় একেবারে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
Advertisment
নীল রঙের বিএমডব্লিউ। তাতেই চালকের আসনে মধুমিতা। আর পাশে রঙিন মেজাজে মদন মিত্র। হাতে হাত। ক্যাপশনে লেখা- নতুন ড্রাইভার। সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। চর্চারও অন্ত নেই। ঠাট্টা-বিদ্রুপ চলছে! তবে মদন মিত্র কিন্তু রসিক মেজাজে। তাঁর কথায়, শুধু মধুমিতা কেন, সম্পর্ক তো অনেকের সঙ্গেই আছে। এরপর ইন্ডাস্ট্রির অংশ হব। কারণ সামলেই আমার ছবি 'ওহ লাভলি' মুক্তি পাচ্ছে। তাহলে কি অভিনেত্রীকে এই বিলাসবহুল গাড়ি তিনিই উপহার দিলেন?
এমন প্রশ্ন ওঠা অস্বাভাবিক নয়। এক্ষেত্রে মদন মিত্রর জবাব, "নিজেই পুরনো অ্যাম্বাসাডর চড়ি। বিএমডব্লু কেনার ক্ষমতা আমার নেই! তো উপহার দেব কি? বরং বিএমডব্লু চড়ার শখ পূরণ হল আমার। আর সেই জন্য মধুমিতাকে ধন্যবাদ..।" আসল ঘটনাটা তাহলে কি?
সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছিসেন মধুমিতা। ইন্ডাস্ট্রির অনেকেই সেখানে উপস্থিত ছিলেন। শেষ হতেই মধুমিতার সঙ্গে দেখা হয় মদন মিত্রর। অভিনেত্রী অবশ্য অনেকটা দূরে গাড়ি পার্ক করায় হেঁটেই যাচ্ছিলেন। বিধায়ক জিজ্ঞেস করেন, গাড়ি কোথায়? তখন মধুমিতা জানান, দূরে রয়েছে। এরপর নিজের ড্রাইভারকে পাঠিয়ে সেই গাড়ি আনতে বলেন মদন। আপ্লুত মধুমিতা নিজের গাড়ির চাবি তাঁর হাতে দিয়ে উঠতে বলেন। এই ছবি তখনই তোলা। তবে এমন শোরগোল কিন্তু তিনি বেশ উপভোগ করছেন। কেন? আসলে তিনি জরিপ করতে চাইছিলেন যে, তাঁর পোস্ট ভাইরাল নাকি মধুমিতার সঙ্গে তাঁর রসায়ন?
এদিকে, মদন-মধুমিতার ছবি একসঙ্গে দেখে নিন্দুকরা ঠাট্টা করতে ছাড়েননি। কেউ বিধায়ককে 'বুড়ো ভাম' বলে কটাক্ষ করলেন তো কেউ বা আবার মধুমিতাকে 'আঙ্কেল চিপস' বলে ব্যঙ্গ করলেন।