অনন্ত মহাদেবন 'রকেট্রি: দ্য নাম্বি এফেক্ট' সিনেমার পরিচালনা থেকে সরে দাঁড়ানোর পর গভীর সমুদ্রে ডুবে যাওয়ার মতো অবস্থা হয়েছিল আর মাধবনের। অবস্থা বেগতিক দেখে নিজেই পরিচালনার ভার কাঁধে তুলে নেন। তবে পরিচালক হিসেবে অভিষেকেই ছক্কা হাঁকিয়েছেন মাধবন। কিন্তু 'রকেট্রি: দ্য নাম্বি এফেক্ট' তৈরি করতে গিয়ে বেজায় চড়াই-উতরাইয়ের সম্মুখীন হতে হয়েছিল অভিনেতাকে। সেইসময়েই শোনা যায়, এই সিনেমা বানাতে গিয়ে নাকি নিজের বাড়ি অবধি বেচে দিতে হয়েছেন মাধবনকে। এবার সেই প্রসঙ্গেই মুখ খুললেন মাধবন।
'রকেট্রি' বানাতে গিয়ে নিজের সর্বস্ব ঢেলে দিয়েছেন পরিচালক-অভিনেতা। উপরন্তু, ২০১৭ সালের পর থেকে মাধবনের আর কোনও সিনেমা রিলিজ করেনি। সেই প্রেক্ষিতেই কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের এক সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানিয়েছিলেন, "আমার একটা ছেলে আছে। উপরন্তু গোটা একটা অতিমারী গেল। আর সেই সময়ে একটা পয়সাও কামাতে পারিনি। এমনকী, কোভিড শুরু হওয়ার ২ বছর আগেও আমার অর্থ উপার্জনের রাস্তা বন্ধ ছিল, কারণ সেই সময়ে আমি ‘রকেট্রি দ্য নাম্বি এফেক্ট’ সিনেমাটা বানাচ্ছিলাম। ওটিটি প্ল্যাটফর্মে কাজ করেই যা আয় হত, তা দিয়ে সংসার চালিয়েছি। সেটা ছাড়া অন্য কোনও ছবিও করিনি।"
এরপরই শোনা যায় 'রকেট্রি'র জন্য নিজের বাড়ি বিক্রি করেছেন মাধবন। সম্প্রতি লিঙ্কডিনে এক ব্যক্তি আবারও সেই দাবি তুলে পরিচালক-অভিনেতার এমন সাহসের প্রশংসা করেছেন। নজর এড়ায়নি মাধবনের। তৎক্ষণাৎ ওই পোস্টের স্ক্রিনশট নিয়ে টুইট করে মুখ খোলেন অভিনেতা।
<আরও পড়ুন: ‘২টো ডায়লগ দিয়েই ৫০ হাজার…’, মানালিকে নিয়ে ফোড়ণ ইমনের!>
খানিক রসিকতা করেই মাধবনের মন্তব্য, "আরে ভাই, আমার আত্মত্যাগকে এতটাও বড় করে দেখিও না। আমি আমার বাড়ি বিক্রি করিনি। এমনকী, রকেট্রি থেকে যা আয় হয়েছে তার থেকে একটা মোটা অঙ্ক গিয়েছে কর হিসেবে। ঈশ্বরের কৃপায় আমি নিজের বাড়িতেই থাকি এখনও। আর নিজের বাড়িটাকে খুব ভালবাসিও।"
প্রসঙ্গত, মাধবনের রকেট্রি বক্স অফিসে যতটা না লক্ষ্মীলাভ করেছে, তার চেয়েও বেশি সমালোচক, দর্শকদের প্রশংসা কুড়িয়েছে। অভিনেতার পরিচালক হিসেবে আত্মপ্রকাশ যে বিফলে যায়নি, এটাই তার প্রমাণ।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন