মহল
কিংবদন্তী অভিনেত্রী মধুবালা যখন মহল সিনেমায় অভিনয় করেছেন তখন তাঁর কেরিয়ার মধ্যগগনে। এই ছবিতে তাঁর অনবদ্য অভিনয় আজও দর্শক ভোলনি। কোকিল কণ্ঠী লতা মঙ্গেশঙ্কের গান এই ছবির অন্যতম আকর্ষণ যা আজও লোকমুখে ফেরে। মধুবালার সৌন্দর্য নিঃসন্দেহে মহলের বাড়তি সংযোজন। ১৯৪৯ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত মহলের নাম ভারতীয় ছবির ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে খচিত।
অমর
১৯৫৪-তে মুক্তি পেয়েছিল মধুবালা অভিনীত ছবি অমর। দিলীপ কুমার ও নিম্মির অসাধারণ অভিনয় দর্শকের মনে দাগ কেটেছিল। কিন্তু, মধুবালা অনন্যা। তাঁর দিক থেকে নজর সরেনি দর্শকের। উচ্চবিত্ত শহুরে মেয়ের ভূমিকায় মধুবালার অভিনয় আজও দর্শক ভোলেনি। যুগে যুগে এই ছবি সিনেপ্রেমীদের কাছে সমাদৃত।
মিস্টার অ্যান্ড মিসেস ৫৫
অনিতা ভর্মার চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন মিস্টার অ্যান্ড মিসেস ৫৫-এ। গুরু দত্ত আর মধুবালার অন স্ক্রিন কেমেস্ট্রি ঝড় তুলেছিল বড় পর্দায়। তাঁর নিখুঁত অভিনয় বারবার প্রমাণ করে দিয়েছে স্ক্রিনে মধুবালা একাই একশো।
কালাপানি
মধুবালা অভিনীত সেরা চরিত্রের তালিকাটা অনেক লম্বা। এবার আসা যাক কালাপানি ছবির কথায়। এই সিনেমার জন্য ফিল্মফেয়ারের তরফে পুরস্কৃত হয়েছিলেন। দেব আনন্দের প্রেমিকার চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। মধুবালার চরিত্রের নাম ছিল আশা। রোম্যান্টিক চিত্রনাট্যকে আরও একটু বেশি চিত্তাকর্ষ করে তুলেছিল এই ছবির গান।
হাওড়া ব্রীজ
সাদা-কালো জমানার ছবির কথা এযুগে হয়তো অনেকেরই অজানা। কিন্তু, মধুবালার সঙ্গে হাওড়া ব্রীজ ছবিটি যেন ওতোপ্রতোভাবে জড়িত। স্বনামধন্য অভিনেতা অশোক কুমারের সঙ্গে এই ছবিতে জুটি বেঁধেছিলেন মধুবালা। সিনেমার আইকনিক গান Mera naam Chin Chin Chu-তে হেলেনের শরীরী হিল্লোল পর্দায় কিছুক্ষণ ঝড় তুললেও, মধুবালার ক্যারিশ্মাই ছিল সিনেমাজুড়ে।
চলতি কা নাম গাড়ি
১৯৫৮ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি চলতি কা নাম গাড়ি। এই ছবির নাম শুনলেই প্রথমে মনে পড়ে যায় আইকনিক গান Ek ladki bheegi bhaagi si। কিশোর কুমারের কণ্ঠে এই গান সর্বজনবিদিত। এই ছবিতে অভিনয় করে মধুবালা প্রমাণ করেছিলেন কমেডি চরিত্রেও তিনি সিদ্ধহস্ত।
বরসাত কি রাত
এই ছবিটি মধুবালা অভিনীত সেরা ছবিগুলোর মধ্যে অন্যতম। বরসাত কি রাতে কাওয়ালি মন ছুঁয়ে ছিল দর্শকের। মধুবালার বৃষ্টিভেজা সৌন্দর্যে একেবারে পুড়ে ছাড়খাড় ভক্তহৃদয়। মধুবালা নিজেও একাধিকবার এই ছবি দেখেছেন।
মুঘল-ই-আজম
মধুবালার ফিল্মি কেরিয়ারের অন্যতম সেরা ছবি মুঘল-ই-আজম। ১৯৬০ সালে মুক্তি পেয়েছিল ছবিটি। নবাব সেলিমের নজর ছিল 'আনারকলি' মধুবালার উপর। সিনেমার পর্দায় যেন রূপের ছটা ঠিকরে বেরচ্ছিল। Jab pyar ki toh darna kya-তে মধুবালার শরীরী ভাষা সত্যিই অতুলনীয়। ভারতীয় সিনেমার ইতিহাসে মধুবালার এই ছবি খোদাই করা থাকবে।
হাফ টিকিট
লাস্ট বাট ট ইন লিস্ট, হাফ টিকিট। কিশোর কুমারের সঙ্গে এই ছবিতে জুটি বেঁধেছিলেন মধুবালা। এখানেও তাঁর প্রাণবন্ত অভিনয় দর্শকের মন ছুঁয়েছিল। এই ছবিগুলো টিভির পর্দায় সম্প্রচারিত হলে আজও দর্শকের মনে আনন্দের ঢেউ ওঠে।