সম্পর্কের ভীত এখন মারাত্মক নড়বড়ে! একে অপরের প্রতি বিশ্বাস হারাচ্ছে, মানুষের মধ্যে আর সেই সৎ থাকার প্রবণতা নেই। আর এই ঘোর কলিযুগে, আজও একসঙ্গে ভালবেসে টাকার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন কিছু মানুষ। তাঁর প্রধান উদাহরণ রাজা এবং মধুবনি।
Advertisment
একটি সিরিয়াল থেকেই দুজনের আলাপ, সেই থেকে প্রেম এবং তারপর বিয়ে। এখন এক মিষ্টি সন্তানের অভিভাবক তাঁরা। সম্পর্ককে কীভাবে আমল দিতে হয় তাঁরা জানেন। একদিকে, রাজা যেমন সিরিয়ালে ব্যস্ত। অন্যদিকে, ছেলেকে সম্পূর্ন নিজের হাতে বড় করে তুলছেন মধুবনি। কিন্তু, চারপাশের পরিস্থিতি দেখে রীতিমতো স্তম্ভিত অভিনেত্রী। সম্পর্ককে ভাঙতে দেরি নেই, সম্ভব আদৌ?
প্রকাশ্যেই এক সাক্ষাৎকারে জানালেন, ইন্ডাস্ট্রিতে এমন অনেকেই আছেন যারা রাতারাতি একজনকে ভুলে আরেকজনকে বিয়ে করে নেন। এমন ঘটনাও বিরল না। অভিনেত্রীর কথায়, "আমি আর রাজা রাত্রিবেলা হাসাহাসি করি, যে এটা আদৌ সম্ভব? পারে কেউ? মানে কী করে? মানুষ একে অপরের ওপর থেকে বিশ্বাস হারিয়ে ফেলছে। এটার অর্থ একটাই যে প্রেমটা কোথাও ছিলই না। এরম হতে শুরু করলে তো বিপদ। সম্পর্কের চারটে ভীতের মধ্যে একটা বিশ্বাস! সৎ থাকতে হবে, অন্যজনকে শ্রদ্ধা করতে হবে।"
বিয়ে শব্দটাই যেন এখন অন্য মাত্রা নিয়েছে। ইয়ার্কির ছলে অনেকেই বলেন, সাতদিন একসঙ্গে সংসার করতে পারলেও যেন অনেক। সেখানে অনেক বছর যেন অসম্ভব। কিছুদিন আগে দেব আবারও বলেছিলেন বিয়ের কী দরকার! যখন ভাল আছি? এটাই তো সবথেকে বেশি জরুরি। তবে, মধুমিতা বললেন, "যারা নিজেদেরকে নিয়ে স্থায়ী নয়, আজকে একে ভাল লাগে কালকে ওকে ভাল লাগে। এটা কোনও ভাল কথা না। তবে, তোমরা কমিটমেন্ট করো না। কারণ, ওটায় অনেক বিশ্বাস লাগে। বিয়ে করো না। লিভ ইন করো।"
বিয়ে কি ছেলেখেলা! এটা নিয়ে এত খারাপ দিকে এগনোর কোনও অর্থ বেই। বরং, সম্পর্কে মর্যাদা না থাকলে বিয়ে না করার কথাই বললেন মধুবনী। ছেলেকে সময় দিয়ে, এখন সেভাবে আর কাজ করা হয় না। নিজের স্যালো সামলে শুধুই কেশবকে নিয়েই তাঁর দুনিয়া।