কিছুদিন আগেই জানা গিয়েছে বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা অপরাজিত উপন্যাসের শেষভাগ নিয়ে তৈরি হচ্ছে শুভ্রজিৎ মিত্রর ছবি অভিযাত্রিক। এবার সেই ছবি নিয়েই কথা বললেন নিবেদক মধুর ভান্ডারকর। জানালেন অভিযাত্রিকের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার কারণ।
সত্যজিৎ রায় ‘অপু ট্রিলজি’ শেষ করেছিলেন, ১৯৫৯এর ‘অপুর সংসার’-এ। ঠিক সেখান থেকেই শুরু হবে ‘অভিযাত্রিক’। আর এই ছবির হাত ধরেই ষাট বছর পর বাঙালি দর্শকের সামনে আসছে অপু। কথাটা শুনে চোখ ওলটাতেই পারেন। বলতেই পারেন আবার সত্যজিৎ নিয়ে টানাটানি কেন? সেকারণেই এবার ছবির নিয়ে কথা বললেন মধুর ভান্ডারকর।
আরও পড়ুন, ”আমি ভালো নেই”: মৃণাল সেনের শেষ রচনা
প্রেস বিবৃতিতে তিনি বলেন, ''অভিযাত্রিক মায়েস্ত্রো সত্যজিৎ রায়ের অপু ট্রিলজির রিমেক নয়। ভান্ডারকর এন্টারটেইনমেন্ট বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপন্যাসের ওপর ভিত্তি করে তৈরি হচ্ছে। প্রযোজক গৌরঙ্গ জালান লেখকের পরিবারের কাছ থেকে বইয়ের স্বত্ত্ব কিনেছেন। যেখানে সত্যজিৎ রায় গল্প বলা শেষ করেছেন সেখান থেকে শুভ্রজিৎ মিত্রর কাহিনির শুরু। ছবির চিত্রনাট্য ও শুভ্রজিতের আগ্রহ দেখেই অভিযাত্রিকের সঙ্গে যুক্ত হয়েছি। সত্যজিৎ রায়ের তৈরি ছবিতে হাত দেওয়ার অভিসন্ধি আমাদের নেই''।
আরও পড়ুন, কলকাতার বাইরে পৌঁছে গেল ‘রসগোল্লা’র স্বাদ
পরিচালকের কথায়, অপরাজিত উপন্যাসের শেষ ৪০ শতাংশ নিয়ে তৈরি হচ্ছে তার ছবি। তিনি বললেন, ”ওই যে তিনটি ছবি ওটা মায়েস্ত্রো বানিয়েছেন। আমি নিজের মতো করে বানানোর চেষ্টা করছি। দর্শক বা সিনেমার ছাত্র হোন অপুর জার্নি প্রত্যেক বাঙালির মধ্যে রোমাঞ্চ এনেছে। তাই যে পথ চলাটুকু রয়ে গেছে সেটা বলার চেষ্টা করছি”। বেনারস, উত্তরবঙ্গ, দুনকা, উত্তর-পূর্ব ভারত, টাকি, বোলপুর ও কলকাতাকে ৪০ দশকের প্রেক্ষাপটে দেখাবেন পরিচালক, তাও সাদা-কালোয়।