অভিনেতাদের নিজের ইচ্ছের বিরুদ্ধে গিয়ে কত কাজই না করতে হয়। কিন্তু, তাঁর অর্থ এটা নয় যে বিন্দুমাত্রও নিজের ইচ্ছের কথা রাখবেন না। অমিতাভের বিপরীতে দাঁড়িয়েও মাধুরী নিজের ইচ্ছের বিরুদ্ধে যাননি।
নায়িকাদের ছবির প্রয়োজনে নানা দৃশ্যে অভিনয় করতে হয়। কখনও, বিসর্জন দিতে হয় নিজের সত্ত্বা আবার কখনও পরিচালকের কথা মতোই কাজ করতে হয়। একবার এমনই এক বিপদে পড়েছিলেন মাধুরী দীক্ষিত। মাধুরী দীক্ষিত মানেই বলিউডের ধকধক গার্ল। তাঁর সৌন্দর্যে আজও পাগল সিনেপ্রেমীরা। একবার তাঁকেই রীতিমতো একটি দৃশ্যে কেবলমাত্র অন্তর্বাস পরে শুটিং করতে বাধ্য করেছিলেন পরিচালক।
টিনু আনন্দ, তিনি বলিউডের বেশ নামজাদা অভিনেতা এবং পরিচালক। নব্বইয়ের শুরুর দিকে মাধুরী এবং অমিতাভকে একই ছবিতে সাইন করেছিলেন। সেই ছবির শুটিং এর প্রথম দিনই ঘটেছিল এক কান্ড। মাধুরী একটি দৃশ্যে শুধু অন্তর্বাস পড়বেন না বলে চূড়ান্ত ঝগড়া করেছিলেন। যদিও, প্রথমে তিনি নিজেই রাজি হয়েছিলেন। টিনু এক সাক্ষাৎকারে বলেন...
আরও পড়ুন - JAWAN: ‘দম ফেলার সময় পাচ্ছি না, উফ!’ ভক্তদের পাগলামিতে অস্থির শাহরুখ
"আমি মাধুরীর সঙ্গে কথা বলেছিলাম একটি নির্দিষ্ট দৃশ্যের বিষয়ে। যে ব্লাউজ-শাড়ি কিছুই পরা যাবে না। শুধু অন্তর্বাস পরেই করতে হবে শুটিং। সেদিনই প্রথম শুটিং আর ওকে সেটের সকলে ওভাবে দেখত। আমি কিছুই আড়াল করতে চাইছিলাম না। শুটিংয়ের প্লট এমন ছিল যে অমিতাভকে আটকে রেখেছেন অনেকে। এমন একজন মানুষকে সাহায্য করছ তুমি যে তোমায় সাহায্য করছে। মাধুরী প্রথমে রাজী হন"। কিন্তু পরে...
হয়তো, কোনও অসুবিধা ছিল তাঁর। সেকারণেই পরে মত পাল্টান তিনি। সোজা পরিচালককে বলেছিলেন, আমার পক্ষে সম্ভব না। আমি করতে পারব না। এমনকি, ফ্লোর থেকে সোজা চলে গিয়েছিলেন মাধুরী। পরিচালকের কথায়, আমি এমনও বলেছিলাম যে কিছু করার নেই। শুটিং করতেই হবে। তবে মাধুরী রাজি ছিলেন না।
এদিকে, ফ্লোরে এসে অমিতাভ এহেন অবস্থা দেখে বেশ অবাক হয়ে পড়েন। পরিচালককে সোজা জিজ্ঞেস করেন, ও যদি করতে না চায় এই দৃশ্য তবে ওকে জোর করছ কেন? যদিও, বিগ বির কথায় গলেনি পরিচালকের মন। তিনি সপাটে জবাব দেন, আগে থেকে তো বলেনি। সাইন করার আগেই বলতে পারত। যদিও সেই ছবির শুটিং বেশিদিন চলেনি।