বি আর চোপড়ার 'মহাভারত' - সে যেন জগৎবিখ্যাত। সেসময় রবিবার হলেই যে যার পড়াশোনা ছেড়ে টেলিভিশনের সামনে বসে পড়তেন সকলে। প্রতিটা চরিত্র সকলের মনে ধরলেও সবথেকে বেশি নজর কেড়েছিলেন নীতিশ ভরদ্বাজ। শ্রীকৃষ্ণের চরিত্রে তিনি যেন অনবদ্য। আজও মহাভারত শুনলেই তাঁর চেহারাই ভেসে ওঠে।
তবে, শ্রীকৃষ্ণের ভূমিকা পালন করা যেমন সহজ ছিল না তেমনই অভিনেতা মনে করেন এটা বিধিলিখিত ছিল। নাহলে প্রভুর চরিত্রে কেউ সহজে অভিনয় করার সুযোগ পায় না। একেই সুন্দর দেখতে তাঁর সঙ্গে অন্যান্য গুণ ছিল দারুণ। ফলেই বি আর চোপড়া বাধ্য হয়েছিলেন তাঁকে কৃষ্ণ হিসেবে বেছে নিতে। কিন্তু বিধি লিখিত কেন? কোনও সংযোগ ছিল?
'মহাভারতে'র পুরনো স্মৃতি আসতেই একদিন নীতিশ বলেন, "কৃষ্ণের চরিত্র পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার। আর এটা ঈশ্বরের ইচ্ছে ছাড়া সম্ভব নয়। আমার মনে হয়, এটা বিধিলিখিত। আমি ছোট থেকে হিন্দি সংস্কৃতি, বেদ, উপনিষদ, গীতা সমস্ত কিছু পড়ে বড় হয়েছি। শ্লোক আমার মুখস্থ। তো, পরবর্তীতে সেগুলো উচ্চারণ করতে আমার অনেক সুবিধা হয়। এবং কৃষ্ণের যে চারিত্রিক বিভিন্ন শেড, সেটাও করতে সুবিধা হয়েছিল।"
আরও পড়ুন < ইন্ডাস্ট্রিতে তাঁকে ‘গুরু’ হিসেবে দেখতেন জিতেন্দ্র, ‘পরিচয়’ ছবির পর নিজের মেয়েকে বলেছিলেন… >
কিন্তু, এই চরিত্রটি করা সহজ ছিল না। অন্তত দুই তিনবার সিলেক্ট হয়েও ক্যানসেল হয়েছিল। শেষে নীতিশকে মনে ধরে চোপড়া সাহেবের। তাঁর মনে হয়েছিল, নীতিশের চোখ খুব কথা বলে। একদম উপযুক্ত সে এই চরিত্রের জন্য। পরিচালককে আশাহত করেননি তিনি। কৃষ্ণের চরিত্র যেভাবে জনপ্রিয় হয়েছিল সেটি আর বলার শব্দ রাখে না।
উল্লেখ্য, সর্বকালের সুদর্শন কৃষ্ণ হিসেবেই নীতিশ ভরদ্বাজ পরিচিত। 'মহাভারত' সকলের স্বপ্ন পূরণ করেছেন বলেই দাবি করেন অন্যান্য তারকারা।