ঢাকে কাঠি পড়ে গিয়েছে। দেবীপক্ষের সূচনা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই আবহাওয়ায় বদল চোখ পড়ছে সবার। ছবির তালিকায় নতুন কিছু যোগ না হলে আনন্দই অসম্পূর্ণ। আর এই স্বাদই পূরণ করল প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের প্রযোজনা সংস্থা। মহালয়ার দিনই প্রকাশ্যে আনল সৌমিক হালদারের ছবি 'মহালয়া'-র টিজার। প্রবাদপ্রতিম রেডিও ব্যক্তিত্ব বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্র এবং মহানায়ক উত্তম কুমারের মহালয়া উপলক্ষ্যে পাঠের বিতর্ক ঘিরেই এই ছবির প্লট।
Advertisment
সোশাল মিডিয়ার দৌরাত্ম্য ছিল না সেসময়, তবুও উত্তম কুমারের পাঠের বিরুদ্ধে বিপুল প্রতিবাদের জেরে অল ইন্ডিয়া রেডিও কর্তৃপক্ষ বাধ্য হয়েছিলেন সিদ্ধান্ত বদলাতে। ঠিক কী ছিল সেই সিন্ধান্ত? ১৯৭৬ সালে বীরেন্দ্রকৃষ্ণবাবুর পরিবর্তে উত্তম কুমারকে দিয়ে মহালয়ার পাঠ করানোর কথা ভাবা হয়। ‘মহিষাসুরমর্দিনী’-র বদলে সম্প্রচারিত হয় ‘দুর্গা দুর্গতিনাশিনী’। কণ্ঠস্বর উত্তম কুমারের। কিন্তু জনগণ সপাটে প্রত্যাখান করেন। পরে সেই বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রকেই ফিরিয়ে আনতে হয় আকাশ বাণীকে।
এবছরই প্রসেনজিতের প্রযোজনা সংস্থা ঘোষনা করেছে ছ'টি ছবির কথা। তার মধ্যে অভিষেক সাহার 'উড়নচন্ডী' মুক্তি পেয়েছে, কুড়িয়েছে প্রচুর প্রশংসা। এছাড়াও তালিকায় রয়েছে চন্দ্রিল ভট্টাচার্যের ‘দাস দা’, সৌমিক সেনের পরিচালনায় আরও একটি ছবি ‘কলকাতা কোম্পানি’, যাতে মুখ্য চরিত্রে থাকবেন প্রসেনজিৎ স্বয়ং। তাছাড়াও গুপী বাঘার পরবর্তী প্রজন্মের গল্প নিয়ে পর্দায় আসবেন ‘টলিউডের ইন্ডাস্ট্রি’।
'মহালয়া' ছবিতে বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের ভূমিকায় থাকছেন শুভাশিস মুখোপাধ্যায়, এবং উত্তম কুমারের চরিত্রে দেখা যাবে যিশু সেনগুপ্তকে। ছবিতে একজন সরকারি আধিকারিকের চরিত্রে অভিনয় করছেন প্রসেনজিৎ নিজে। ইতিমধ্যেই শেষ ছবির শুটিং। নতুন বছরের গোড়াতেই মুক্তি পেতে পারে 'মহালয়া'।