সুশান্ত সিং রাজপুতের (Sushant Singh Rajput) মৃত্যুর পর থেকেই বলিউড ইন্ডাস্ট্রির মধ্য দিয়ে যেন এক ঝড় বয়ে গিয়েছে। স্বজনপোষণ বিতর্ক থেকে শুরু করে মাদকযোগ, একের পর এক অভিনেতা-অভিনেত্রীদের নাম জড়িয়েছে। যার জল গড়িয়েছিল সংসদের শীতকালীন অধিবেশনেও। প্রকাশ্যে বিজেপি সাংসদ রবি কিষেণ বলিউডকে নিয়ে কু-মন্তব্য করায় তাঁর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন সমাজবাদী পার্টির সাংসদ জয়া বচ্চন। কঙ্গনা রানাউতই (Kangana Ranaut) অবশ্য প্রথম বলিউডের সঙ্গে মাদকযোগের প্রসঙ্গ উত্থাপন করেছিলেন। যা নিয়ে জোর শোরগোল শুরু হয়েছিল হিন্দি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির অন্দরেও। এবার সেই প্রেক্ষিতেই মুখ খুললেন মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল দেশমুখ (Anil Deshmukh)।
সম্প্রতি এক সংবাদমাধ্যমের কাছে বলিউডের মাদকযোগ প্রসঙ্গে মুখ খুলেছিলেন অনিল দেশমুখ। তাঁর কথায়, "ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির মাত্র কয়েকজনের মাদকচক্র যোগ রয়েছে বলে গোটা ইন্ডাস্ট্রির উপর এর জন্য 'খারাপ' তকমা সাঁটা একেবারেই উচিত নয়। যাঁরা দোষী তাঁদের বিরুদ্ধে অতি অবশ্যই যথাযথ পদক্ষেপ করা হবে। কিন্তু তা বলে এই নয় যে, গোটা বলিউড ইন্ডাস্ট্রিটাই খারাপ।"
এরপর তিনি আরও বলেন, "মাদকাসক্ত হওয়া কিংবা কেউ যদি মাদক নেন, তা অবশ্যই আইনের চোখে অপরাধ। তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নেওয়া হবে। কিন্তু কেউ যদি বলিউডের সঙ্গে যুক্ত থেকে অন্যত্র মাদক পাচার করেন, তাহলে তা গুরুতর অপরাধ হিসেবে বিবেচ্য। এটা কখনোই মেনে নেওয়া হবে না।"
বিগত কয়েক মাসে দীপিকা পাড়ুকোন (Deepika Padukone) থেকে শ্রদ্ধা কাপুর, রকুলপ্রীত সিং, করণ জোহর-এর মতো অনেক ডাকসাইটে তারকার নামই জড়িয়েছে বলিউড মাদক মামলায়। সদ্য অর্জুন রামপালের (Arjun Rampal) বাড়িতেও তল্লাশি চালিয়েছে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর আধিকারিকরা। যার জেরে আজ প্রেমিকা গ্যাব্রিয়েল-সহ অর্জুনকে তলব করে পাঠিয়েছে এনসিবি। ওদিকে দীপিকার ম্যানেজার করিশ্মা প্রকাশের বাড়ি থেকে একাধিক মাদকদ্রব্য উদ্ধার হওয়ার পর তিনি এখনও নিঁখোজ। আর এই পরিস্থিতিতেই মাত্র কয়েকজনের জন্য হিন্দি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির দিকে আঙুল তোলা কিংবা তাকে 'জঞ্জাল' বলে আক্রমণ করাও উচিত কাজ নয় বলেই মনে করছেন মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।