বিগত সাত দিন ধরে নতুন করে বড্ড বেশি আলোচনায় রয়েছেন বলিউডের জনপ্রিয় পরিচালক মহেশ ভাট। সুশান্ত সিং রাজপুতের আত্মহত্যার খবর ছড়িয়ে পড়ার একদিনের মধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন সময়ে নানা ভাবে ট্রোলড হয়েছেন বর্ষীয়ান এই পরিচালক-প্রযোজক। সপ্তাহের শুরুতেই ফের আরও একবার ট্রোলড হলেন তিনি। নেপথ্যে তাঁরই একটি পোস্ট। এবার এক কঙ্কালের ছবি পোস্ট করে মহেশ ভাট উল্লেখ করেছেন বিশ্ব বিখ্যাত এক উক্তির, 'ডায়িং মেন থিংক অফ ফানি থিংস'।
সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পর পরিচালক মহেশ ভাট নিজেই সংবাদমাধ্যমে বলেন, তিনি জানতেন সুশান্তের এমন এক পরিণতি হতে চলেছে। শোনা যাচ্ছে, সুশান্তের প্রেমিকা রিয়া চক্রবর্তীকে তাঁদের সম্পর্কে ইতি টানার পরামর্শও দিয়েছিলেন তিনি। সুশান্তের আচরণের সঙ্গে প্রয়াত পরভিন বাবির মিল খুঁজে পান বলেও জানিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: সুশান্ত-অঙ্কিতার সম্পর্ক নিয়ে একটা কথাও বলেননি মুম্বইয়ের চিকিৎসক
প্রসঙ্গত, ২০০৫ সালে তাঁর নিজের বিলাসবহুল ফ্ল্যাটেই উদ্ধার হয় বলিউডের একদা তুমুল জনপ্রিয় নায়িকা পরভিন বাবির দেহ। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৫৫ বছর। চিকিৎসকরা জানান, কার্যত অনাহার এবং অর্গান ফেলিওরের কারণেই মৃত্যু হয় তাঁর। তবে মৃত্যুর বেশ কয়েক বছর আগে থেকেই মানসিক বিকারের লক্ষণ দেখা গিয়েছিল তাঁর মধ্যে, যার ফলে তাঁর এবং মহেশ ভাটের সম্পর্কও ভেঙে যায়। ভাটের সঙ্গে পরভিনের যেসময় আলাপ, সেসময় অভিনেতা কবীর বেদীর সঙ্গে দীর্ঘদিনের সম্পর্ক সদ্য ভেঙে গিয়েছে তাঁর। মনে করা হয়, তাঁর মানসিক বিকারের নেপথ্যে ছিল একাধিক সম্পর্কে ভাঙনও, যার ফলে গভীর একাকীত্বে ভুগতেন পরভিন।
বর্তমানে ওই পোস্টটি করার পর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় নেটিজেনদের সমালোচনার মুখে পড়েছেন ভাট। অধিকাংশেরই প্রশ্ন, কেন অন্তিম পরিণতির সম্ভাবনা আঁচ করেও সুশান্তকে জীবনের মূলস্রোতে ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করেন নি তিনি?
মহেশ ভাটের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়
সোমবার সকালে তাঁর কঙ্কালের ছবি সহ পোস্টে টড উইলিয়ামসের বিখ্যাত লাইন, 'ডায়িং মেন থিংক অফ ফানি থিংস', বিশেষভাবে ক্ষেপিয়ে তুলেছে নেটপাড়াকে। পরিচালকের এ হেন পোস্টে পালটা অনেকেই মতামত দিয়েছেন যে, সুশান্তের মৃত্যু নিয়ে নাকি 'তাচ্ছিল্যের হাসি' হেসেছেন পরিচালক!
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন