দাদার কীর্তির সেই সরস্বতী, মহুয়া রায়চৌধুরীর ভয়ঙ্কর মৃত্যুতে কেঁপে উঠেছিল তখনের বাংলা ইন্ডাস্ট্রি। আর গতকাল তাঁর ছিল মৃত্যুদিন। সেই কারণেই অভিনেত্রী রত্না ঘোষাল যার প্রিয় বন্ধু ছিলেন, নানা মন্তব্য করেছিলেন।
অভিনেত্রী একসময় মহুয়ার খুব কাছের মানুষ ছিলেন। বন্ধু হিসেবে অনেক সময় একসাথে কাটিয়েছেন। আর আজ যখন প্রায় ৩৯ বছর ধরে মহুয়া নেই, তখন সেসব স্মৃতি কিছুই ভোলেননি রত্না। কিন্তু গতকাল তিনি যা বলেছেন তারপর থেকে অনেক জলঘোলা শুরু হয়েছে। অভিনেত্রী প্রকাশ্যে তাঁর মৃত বন্ধুকে নিয়ে এমন কিছু বলেছেন...
রত্না বলে বসেন তাঁর বন্ধু নাকি ভীষন মদ্যপান করতে ভালবাসতেন। শুধু তাই নয়, তাঁর পাশাপাশি সন্তানকে নাকি মদ খাওয়াতেন পর্যন্ত! অবাক করা মন্তব্যে তোলপাড় সোশ্যাল মিডিয়া। রত্না বলেন... "মহুয়া মদ খেত, ভীষণ ড্রিংক করতে ভালবাসত। আর ও ওর ছেলেকে পর্যন্ত সেটা খাওয়াতো। গোলা ( মহুয়ার ছেলে ) ও ছোটবেলায় এত মিষ্টি ছিল। গুলুগুলু ছিল পুরো। সেই জন্যই ওর নাম গোলা। কিন্তু আমি খুব অবাক হতাম, যে ও ওর ছেলেটাকে মদ খাওয়াতো। "
কোনওদিন এই বিষয়ে মহুয়াকে থামানোর চেষ্টা করেননি রত্না? অভিনেত্রী বলেন, "আমি একদিন ওকে বললাম হ্যাঁ রে, ও ছোট একটা বাচ্চা! ওকে তুই মত খাওয়াচ্ছিস? মহুয়া বলত, কী মুশকিল! ওর বাবা মা মদ খায়, আর ও খাবে না? গোলা নিজেও চুপটি করে বসে থাকত। তখন কত বয়স ওর? দুই আড়াই বছর।" আর অভিনেত্রীর এই মন্তব্যের পরেই শোরগোল।
এমনকি এই বিষয়ে রেগে আগুন ইন্ডাস্ট্রির আরেক চেনা মুখ রানা সরকার। তিনি জানিয়েছেন, মহুয়াকে নিয়ে তিনি যে নতুন ছবি বানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তাতে, রত্নাদি সাহায্য করবেন বলেছিলেন। এমনও বলেছিলেন, নেগেটিভ কিছু থাকলে তিনি এরমধ্যে নেই। কিন্তু এখন তিনি নিজেই নেগেটিভ সব মন্তব্য করে চলেছেন। তাই, এই ছবির সঙ্গে রত্নাদির কোনও সম্পর্ক নেই।