মালাইকা অরোরা এবং অর্জুন কাপুর ২০২৪ সালের শুরুতে বিচ্ছেদের আগে বেশ কয়েক বছর একে অপরেরসঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন। সম্প্রতি এক প্রকাশ্য অনুষ্ঠানে অর্জুন জানান, বর্তমানে তিনি সিঙ্গেল। এবং এখন, মালাইকা অবশেষে তাদের পরিস্থিতি সম্পর্কে তার নীরবতা ভেঙেছেন, বলেছেন যে তিনি তার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে প্রকাশ্যে আলোচনা করতে চান না, কারণ এটি কেবল আরও বিতর্কের জন্ম দেবে।
২০১৭ সালে প্রাক্তন স্বামী আরবাজ খানের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর ২০১৮ সালে ডেটিং শুরু করেন অর্জুন কাপুর ও মালাইকা অরোরা। ২০১৯ সালে নিজেদের সম্পর্ককে ইনস্টাগ্রাম অফিসিয়াল করেন তারা। দুজনেই জনসমক্ষে তাদের সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করতে বেশ স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করতেন। অর্জুনকে প্রায়শই জিজ্ঞাসা করা হত যে কোনও বিবাহের পরিকল্পনা রয়েছে কিনা। বিশেষ করে সোশ্যাল মিডিয়া থেকে একসঙ্গে ছবি ডিলিট করার পর বেশ কিছুদিন ধরেই গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল।
সম্প্রতি ইটাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অবিবাহিত থাকা নিয়ে অর্জুনের প্রকাশ্য মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন মালাইকা। তিনি জানান যে তিনি তার জীবনের কিছু দিক ব্যক্তিগত রাখতে চান, এবং বলেছিলেন, "আমি আমার ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে কথা বলার জন্য কখনই কোনও পাবলিক প্ল্যাটফর্ম বেছে নেব না। তাই অর্জুন যা বলেছেন তা সম্পূর্ণ তাঁর এখতিয়ার।" এর আগে পাপারাজ্জিদের সঙ্গে কথোপকথনে অর্জুন ঘোষণা করেছিলেন, " না, আমি এখন সিঙ্গল। তাই, শান্ত থাকুন।
তবে চলতি বছরের শুরুতে সৎ বাবা অনিল মেহতা মারা যাওয়ার পর মালাইকার পাশে দাঁড়িয়েছেন অর্জুন। এতকিছুর পরেও মালাইকার সঙ্গ তিনি ছাড়েননি। তাঁর বিপদের দিনে পাশে দাঁড়িয়েছিলেন বলে, নানা মন্তব্য শোনা গিয়েছিল। কিন্তু, এক্ষেত্রে তিনি টেনে আনেন সৎ মা শ্রীদেবির মৃত্যুকে। মাকে হারিয়ে তখন খুশি-জাহ্নবী খুব একা। বিবাদ-বিতর্ক ভুলে তখন তাঁদের সঙ্গে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি।
এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, "বাবা আর খুশি-জাহ্নবীর সঙ্গে যখন যা হল, তখন একটা আবেগ কাজ করছিল। আর এক্ষেত্রেও একটা সহজাত প্রবৃত্তি ও তাড়না ছিল। আমি যদি কারও সাথে মানসিক বন্ধন তৈরি করে থাকি তবে আমি সর্বদা এই বিশ্বাস করতে চাই যে ভাল এবং খারাপ নির্বিশেষে আমি সেখানে থাকব। ভালোর জন্য যদি আমাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়, আমি সেখানে থাকব। আর খারাপের জন্য যদি আমার প্রয়োজন হয়, আমি সেখানে থাকব। আমি এমন কেউ নই যার অনেক বন্ধু আছে। আমি সবার জন্য এটা করছি না। যদি সেই ব্যক্তি আমাকে সেখানে না চায় তবে আমি অতীতের মতো দূরত্ব বজায় রাখব।