দশমীর রাতে মাল নদীতে ঠাকুর বিসর্জনে বিভীষিকা! আচমকাই হড়পা বাণে ভেসে যান বিসর্জন দেখতে আসা কাতারে কাতারে মানুষ। ইতিমধ্যেই ৮ জনকে মৃত ঘোষণা করা হয়েছে। তবে এখনও নিখোঁজ বহু মানুষ। আর প্রকৃতির এমন নির্মম লীলা-কাণ্ডে দশ দশটা মানুষের প্রাণ একা হাতে বাঁচিয়েছেন মহম্মদ মাণিক নামে মালবাজারের এক বাসিন্দা।
যে ব্যক্তিকে ঘিরে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছেয়ে গিয়েছে পোস্ট। দশমীর রাতে সাক্ষাৎ দেবদূতের ভূমিকায় দেখা গিয়েছিল মহম্মদ মানিককে। ভাইরাল ভিডিওতে দেখা গিয়েছিল হলুদ জামা পরা এক ব্যক্তিকে ঘাট থেকে জলে ঝাঁপিয়ে পড়তে। তিনিই জলের তোড়ে ভেসে যাওয়া মানুষগুলির মধ্যে কমপক্ষে ১০ জনকে বাঁচাতে সক্ষম হয়েছেন। মানিক এখন মালবাজারের ‘সুপারহিরো’। গোটা মালবাজার জুড়ে লোকের মুখে মুখে ফিরছে এই যুবকের নাম। তাঁকেই কুর্নিশ জানালেন সৃজিত মুখোপাধ্যায়।
<আরও পড়ুন: সাধে আমন্ত্রণ নেই তো কী! আলিয়াকে বিশেষ উপহার পাঠালেন মাধুরী>
মালবাজারের তেমশিলা গ্রামের যুবক মহম্মদ মানিক। বিজয়া দশমীর রাতে মাল নদীর ধারে আশেপাশের বহু মানুষ জড়ো হয়েছিলেন। প্রত্যেকেই প্রতিমা বিসর্জনের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসেছিলেন। ঠিক তখনই নদীতে আচমকা হড়পা বান নামে। জলের তোড়ে ভেসে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে ৮ জনের। ঘাটে সেই সময় কাতারে-কাতারে মানুষের ভিড়ে ছিলেন মহম্মদ মানিকও। খড়কুটোর মতো মানুষকে জলে ভেসে যেতে দেখেই নদীতে ঝাঁপ দেন এই তরুণ। মাণিকের কথায়, "নিজের জীবনের কথা ভাবিনি সেই সময়ে।"
মালের সেই সুপারহিরো মহম্মদ মাণিকের ছবি শেয়ার করে সৃজিতের মন্তব্য, "এই যদি আমার দেশ না হয়, তো কার দেশ বলো? প্রসঙ্গত, দেশে বিভিন্ন সময়ে সাম্প্রতিক কালেই একাধিকবার হিন্দু-মুসলিম দ্বন্দ্ব দেখা গিয়েছে। সেই প্রেক্ষাপটে মহম্মদ মানিকের এমন মহানুভবতায় আবারও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বার্তা খুঁজে পেল নাগরিকরা।