চির ঘুমের দেশে 'গীতশ্রী'। সুরের আকাশে বিষাদ সন্ধ্যা। শোকস্তব্ধ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন, 'এই ক্ষতি শুধু দেশের নয়, বিশ্বের সঙ্গীত জগতের। আমি মনে করি উনি ভারতরত্ন।'
মঙ্গল সন্ধ্যায় প্রয়াত সঙ্গীতশিল্পী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়। শিল্পীর স্মৃতিচারণায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'একটা শতাব্দীর আর কেউ রইলেন না। আমি ভাবতেই পারছি না। খুব খারাপ লাগছে। কোভিড থেকে সেরে ওঠার পরও একদিনে হঠাৎ কী যেন হয়ে গেল…। আমরা ঠিক করেছিলাম ডাঃ ঢালিকে সন্ধ্যাদির চিকিৎসার জন্য পাঠাবো। তখনই খারাপ খবরটা পেলাম।'
মমতার সঙ্গে সন্ধ্যার সম্পর্ক বড় বোন-ছোট বোনের। কয়েক বছর আগেও রাজ্য পরিচালিত সঙ্গীতের বেশ কয়েকটি অনুষ্ঠানে প্রবীণ শিল্পীকে দেখা গিয়েছে। সেকথাই এই দিন উঠে আসছিল মুখ্যমন্ত্রীর স্মৃতিচারণায়। বলছিলেন, 'সন্ধ্যাদি ছিলেন ছেলেমানুষের মত। আমাকে মাঝে মাঝে ফোন করতেন। আর ফোন ধরেই বলতেন একটা গান করো। আমি বলতাম আপনি গানের দিশারী, আর আমি গাইবো আপনার সামনে। সে বললেও উনি থামতেন না। কখনও কখনও গান শুনিয়েছি। ওনার চলে যাও বাংলা সংস্কৃতির অপূরণীয় ক্ষতি।'
মুখ্যমন্ত্রী রয়েছেন উত্তরবঙ্গে। শিল্পী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের প্রয়া তাঁর কাছে বড় ধাক্কা বলে জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 'গীতশ্রী'কে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে বুধবার কলকাতায় ফিরতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানিয়েছেন, আগামিকাল পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের শেষ কৃত্য সম্পন্ন হবে।
টুইটে মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, 'বাংলার সুরের রাণী গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় আর নেই। আমি গভীরভাবে দুঃখিত। সন্ধ্যাদির চলে যাওয়া সঙ্গীত জগতে এবং দেশ-বিদেশে তাঁর গিণমুগ্ধদের কাছে অপূরণীয় শূন্যতার সৃষ্টি করল। আমি তাঁকে নিজের বড় বোনের মতো দেখতাম এবং তাঁর চে যাওয়া আমার ব্যক্তিগত ক্ষতি। তিনি আমাদের সঙ্গীত আকাদেমির অনুপ্রেরণা। আমরা তাকে বঙ্গবিভূষণ (২০১১), সঙ্গীত মহাসম্মান (২০১২) সম্মানে ভূষিত করি।'
আরও পড়ুন- বাংলার সঙ্গীতাকাশে নক্ষত্রপতন, চিরঘুমের দেশে ‘গীতশ্রী’ সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়