Mamata Shankar-Padma Awards: যদিও বা তার মন্তব্যের কারণে বেশ কয়েকবার তিনি সমালোচনার মুখেও পড়েছেন, ইফতার অভিনয় দক্ষতা এবং নাচ নিয়ে সত্যিই যেন প্রশংসা করার থেকে আর বেশি কিছু করা যায় না। এমনকি, বাবার লিগেসি যদি কেউ ধরে রাখতে পারেন, তিনি মমতা শংকর। বাংলা থেকে যারা পদ্যশ্রী পুরস্কার পাচ্ছেন, তাদের মধ্যে অন্যতম অরিজিৎ সিং এবং পন্ডিত তেজেন্দ্র নারায়ন মজুমদার। কিছুক্ষণ আগে পণ্ডিত জি আমাদের জানিয়েছেন, মম দির পুরস্কার পেতে অনেক দেরি হয়ে গেল। উনার অভিনয় দক্ষতা এবং নাচের কারণে বহুদিন আগে দাঁড়িয়ে পুরস্কার পাওয়া উচিত ছিল।
কিন্তু যে মানুষটি ছোট থেকে, শিল্প সংস্কৃতি এবং গ্ল্যামার সঙ্গে নিয়ে বড় হয়েছেন, সেই মানুষটি কিন্তু আদ্যোপান্ত ঘরোয়া একজন বউ। তাঁর স্বামীর সঙ্গে প্রেমের গল্প যে কতটা আলাদা, সেকথা জানতেন কেউ? মমতা শঙ্করকে কীভাবে প্রোপোজ করেছিলেন চন্দ্রদয় ঘোষ তাঁকে? মমতা শঙ্কর জানান, প্রেমের আগে নাকি তিনটে শর্ত দিয়েছিলেন তাঁর স্বামী। শিল্পী বলেন...
" আমি নিশ্চয়ই আবার জন্ম নেব কারণ অত বড় মাপের মানুষ আমি হয়ে যায়নি, যে আমার আর জন্ম হবে না। আমি যদি আবার জন্ম নিয়ে আমি তাহলে ওকেই বিয়ে করতে চাই। আমাদের অনেক দ্বিমত আছে। অনেক কিছু আছে যেটা মেলে না, কিন্তু বন্ডিং আছে। যখন আমাকে প্রথম প্রপোজ করেছিল, তিনটে শর্ত দিয়ে প্রপোজ করেছিল। প্রথম, তুমি কোনদিনও নাচ ছাড়তে পারবেনা। তখন আমি অভিনয় জীবনে আসিনি। দ্বিতীয় বলেছিল, তুমি কোনদিনও গান গাওয়া ছাড়তে পারবে না। এখন আমার গলা শুনলে কেউ বলবে না যে এক সময় আমি গান শিখতাম। তারপর তিন নম্বরটা শোনার জন্য আমি অপেক্ষায় ছিলাম। সে তিন নম্বরে লিখেছিল তুমি আমায় কোনদিনও ভুল বুঝবে না।"
একটা কাগজের মধ্যে এই তিনটি প্রমিস লিখেছিলেন তার স্বামী চন্দ্রদয় ঘোষ। ইনভার্টেড কমার মধ্যে, এই তিনটি প্রমিসের শেষে নিজে লিখে দিয়েছিলেন মম। শিল্পী একদিকে যেমন স্টেজ সামলেছেন, লাইট ক্যামেরা একশনের দুনিয়ায় বিচরণ করেও নিজেকে ধরে রেখেছেন, ঠিক তেমনই নিজের দাম্পত্য জীবনটাকেও বেশি সুন্দর করে মানিয়ে গুছিয়ে নিয়েছেন।