/indian-express-bangla/media/media_files/2025/08/21/mammootty-health-ebrahimkutty-2025-08-21-15-43-10.jpg)
কী জানা যাচ্ছে তাঁকে নিয়ে?
মঙ্গলবার থেকে সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে নানা আবেগঘন পোস্ট। সুপারস্টার মোহনলাল থেকে শুরু করে রাজ্যসভার সাংসদ জন ব্রিটাস- অসংখ্য ভক্ত ও সহকর্মী একসাথে জানালেন তাদের অকৃত্রিম ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা। যাঁকে ঘিরে এত উচ্ছ্বাস, তিনি আর কেউ নন—মামুট্টি। গত কয়েক মাস ধরে স্বাস্থ্যজনিত কারণে আলোচনার বাইরে ছিলেন এই মেগাস্টার।
যদিও তাঁর স্বাস্থ্য সংকট নিয়ে প্রকাশ্যে কিছু বলা হয়নি, পরিবার ও ঘনিষ্ঠ মহল নিশ্চিত করেছে, এখন তিনি পুরোপুরি সুস্থ। আর এ বার তাঁর ভাই ইব্রাহিমকুট্টি নিজেই আবেগঘন পোস্টে জানালেন, বহু প্রতীক্ষার পর ফেরার জন্য প্রস্তুত মামুট্টি। ফেসবুকে তিনি লিখেছেন,
“কালো মেঘ আর অশান্তির সমুদ্র পেরিয়ে অবশেষে স্বস্তি মিলল। বহুদিনের চাপা দুশ্চিন্তা কেটে গেছে। এখন নতুন করে ঘুরে দাঁড়ানোর পালা।”
তিনি আরও লেখেন, “যেখানেই গিয়েছি, মানুষ শুধু ইচাক্কাকে (মামুট্টির ডাকনাম) নিয়ে প্রশ্ন করেছে। রেলস্টেশন, বাসস্ট্যান্ড, শুটিং লোকেশন- সব জায়গায় মানুষ ভরসা করে আমার থেকে জানতে চেয়েছে, ‘মাম্মুক্কা ঠিক আছেন তো?’ আমার ‘হ্যাঁ’ উত্তর শুনে তাদের মুখের অভিব্যক্তি বুঝিয়ে দিয়েছে, কত গভীর ভালোবাসা তাঁর প্রতি। সত্যিই, একজনের জন্য গোটা দুনিয়া প্রার্থনা করেছে।” পোস্টের শেষে তিনি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন সকলের প্রতি, “যারা ইচাক্কার জন্য নিঃশর্ত ভালোবাসা দেখিয়েছেন, প্রার্থনা করেছেন, তাঁর সুস্থতার কামনা করেছেন- প্রত্যেকের প্রতি অসীম কৃতজ্ঞতা।”
একই দিনে মামুট্টির দীর্ঘদিনের সহযোগী জর্জ এবং প্রযোজক-বন্ধু অ্যান্টো জোসেফও সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দেন। সেখানে ইঙ্গিত মেলে, চিকিৎসা ও বিশ্রামের পর মামুট্টি এখন সম্পূর্ণ সুস্থ এবং অভিনয়ে ফেরার জন্য প্রস্তুত।
সহকর্মী সুপারস্টার মোহনলালও শেয়ার করেছেন এক আবেগময় মুহূর্ত। মামুট্টির গালে তাঁর একটি উষ্ণ চুম্বনের পুরনো ছবি, সাথে একটি লাল হার্ট ইমোজি। অন্যদিকে সাংসদ জন ব্রিটাস লিখেছেন,
“প্রিয় মামুক্কা, আপনার শক্তি ও স্থিতিস্থাপকতা অনুপ্রেরণার। আপনাকে ফিরতে দেখে আমরা আনন্দিত। আগামী বহু বছর আপনার উপস্থিতি আমাদের প্রয়োজন।”
মেগাস্টারের পুরনো বন্ধু, অভিনেতা ভি কে শ্রীরামন ফেসবুকে তাঁদের শেয়ার করা একটি ছবি পোস্ট করে স্মরণ করেছেন মামুট্টির সেই ফোন কলের কথা, যখন তিনি হাসিমুখে জানিয়েছিলেন- “শেষ মেডিকেল পরীক্ষাটাও সফলভাবে পেরিয়ে এসেছি।”