শেষ কিছুদিন ধরে দেখা গিয়েছে, মমতা কুলকার্নি এবং জেনে সন্ন্যাস গ্রহণ নিয়ে নানা আলোচনা। বলিউডের প্রাক্তন অভিনেত্রী দীর্ঘদিন নিজের প্যাশন এবং কাজ ছেড়ে বিদেশে ছিলেন। তবে, এবার তিনি যখন ভারতবর্ষে ফিরেছিলেন, অনেকেই ভেবেছিলেন যে হয়তো বা অভিনয় জীবনে তিনি ফিরছেন, তবে না! তাঁকে দেখা গিয়েছিল প্রয়াগ রাজে সঙ্গমে গিয়ে নিজের পিণ্ডদান নিজেই করেন তিনি। এবং...
তারপরই কিন্নর আখড়ার তরফে তাঁকে মহামান্ডলেশ্বর ঘোষণা করা হয়। লক্ষী নারায়ণ দায়িত্ব নিয়ে তাঁর অভিষেক করেন। এবং সন্ন্যাস নিয়েছিলেন তিনি। চোখে জল, গলায় ফুলের মালা, সব মিলিয়ে তিনি সন্ন্যাসী হয়ে উঠেছিলেন চোখের পলকেই। কিন্তু, তারপর থেকে শুরু হয়েছে নানা সমালোচনা। নানা সংঘের সাধু সন্তরা আপত্তি জানিয়েছিলেন বারবার। আর সেই বিপত্তির জেরেই ঋষি অজয় দাস, যিনি কিন্নর আখড়ার স্রষ্টা, তিনি জানিয়েছেন মমতা কুলকার্নিকে যোগ দেওয়ার বিষয়ে কেউ কিছুই জানত না। একটি প্রেস রিলিজ দেওয়া হয়েছে আজ।
জানানো হয়েছে, লক্ষী নারায়ণ এবং মমতা কুলকার্নিকে মহা মান্ডলেশ্বর - এই পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এবং সেই রিলিজে বলা হয়েছে, লক্ষী নারায়ণ নাকি বহুবার প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বচসা করেছেন এবং ঋষি অজয় দাসের অনুমোদন ছাড়াই, মমতাকে মহামান্ডলেশ্বর হিসেবে চিহ্নিত করেছিলেন। তাঁর কথায়, লক্ষীকে তাঁর পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে কারণ, যে কাজে তাঁকে রাখা হয়েছিল ধর্মীয় প্রচার এবং আচার অনুষ্ঠানের জন্য, সেই কাজে তিনি ব্যর্থ হয়েছেন। এমনকি, কিন্নর সম্প্রদায়ের উন্নতিও তিনি করতে পারেননি।
ঋষি অজয় দাস জানিয়েছেন, সংঘের বিরুদ্ধে গিয়ে তিনি কাজ করেছেন। এমন এক অসাংবিধানিক কাজ করবেন লক্ষী এবং কিন্নর আখড়ার মানুষরা আশাও করতে পারেন না। ধর্মের নীতির বিরুদ্ধে কাজ করেছেন তিনি। বিশেষ করে মমতা যিনি গ্ল্যামার দুনিয়ার ব্যক্তি এবং ড্রাগস কেসের সঙ্গে সঙ্গে বিশ্বাস ঘাতকতার সঙ্গে জুড়েছেন, এমন মানুষকে কী করে ধর্মের জায়গায় স্থান দেয়? এমনই প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।