একসময়ের বলিউড অভিনেত্রী, মমতা কুলকার্নি , বর্তমানে সন্ন্যাস নেওয়ার পর তাঁকে নিয়ে আলোচনার শেষ নেই। শুধু তাই নয়, তিনি নিজেই নিজের পিন্ডদান করেছেন। এবং সঙ্গমে গিয়ে নানা ধরনের রীতিনীতি পালন করেই সন্ন্যাস নিয়েছেন। তারপর থেকেই বিতর্ক। কেউ বলছেন, একজন গ্ল্যামার ওয়ার্ল্ড এর মানুষ কী করে হঠাৎ করে সাদ্ধি হয়ে গেলেন? যাই হোক, তিনি নাকি এবার নিজেই পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন?
মমতা কুলকার্নি যেদিন কিন্নর আখড়ার তরফে মহা মান্ডলেশ্বর উপাধি পেলেন, সেদিন থেকেই তিনি যেন আরও রোষানলে। নানা ধর্ম সংস্থার সাধু সন্তরা সঙ্গে শঙ্করাচার্যের মত মানুষেরাও এই নিয়ে বিরোধ জানিয়েছিলেন। ফলে, এক সপ্তাহের মধ্যেই তাঁর পদ চলে যায়। তাঁকে বহিষ্কার করা হয় ওই পদ থেকে। সঙ্গে, লক্ষী নারায়ণ এরও পদ নিয়ে দোনামনা লাগে। কিন্তু, এবার শোনা যাচ্ছে তিনি ইস্তফা দিয়েই ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। মমতা জানিয়েছেন...
"আমি মহা মান্ডলেশ্বর পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছি। আমি প্রায় ২৫ বছর ধরে সাধু ছিলাম। আর সামনেও থাকব। কিন্তু, আগামীতে আমি আর এই পদে থাকব না। এখানেই শেষ না। মমতা এও জানিয়েছেন, অনেকেরই নাকি এই কারণে বেশ অসুবিধা হচ্ছিল। তাঁর কারণে বিবাদ হোক এটা চাইছেন না তিনি। মমতা বলছেন...
"কিছু মানুষের আমার মহামান্ডলেশ্বর হওয়া নিয়ে অসুবিধা হয়েছে খুব। সে তিনি শঙ্করাচার্য হন বা অন্য কেউ। আমি এই বিবাদে ফেঁসে গিয়েছি।" অভিনেত্রী নিজের দুঃখের কথা জাহির করেই বললেন, তিনি মানসিকভাবে বেশ ভেঙে পড়েছেন। মমতা জানিয়েছেন, "ভগবানও গয়না পরেন এবং সন্ন্যাসের নিজস্ব সংজ্ঞা আছে। আমি ২৫ বছর ধরে কঠোর তপস্যা করেছি। কিন্তু আমার মহামণ্ডলেশ্বর হওয়া নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।"