মমতা কুলকার্নি এবং তাঁর সন্ন্যাস গ্রহণের ঘটনা সারা দেশ জুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে, প্রাক্তন বলিউড অভিনেত্রী হঠাৎ করেই যে মহা কুম্ভ মেলায় গিয়ে নিজেই নিজের পিন্ড দান করে সন্ন্যাস নিয়ে নেবেন সেকথা ভাবনার বাইরে ছিল। বহু বছর আগে মমতা বলিউড থেকে বিদায় নেন। কিন্তু, তারপর থেকে তাঁর জীবনে নানা কান্ড ঘটে।
বহু বিতর্কে জড়িয়েছেন মমতা। এবং তাঁর নাম এসেছে ড্রাগস কান্ডেও। সঙ্গে একজন মহিলা হয়েও তিনি কী করে কিন্নর আখড়ার দলে সুযোগ পেলেন সেই নিয়েই প্রশ্ন তুলছেন, বেশিরভাগ। এমনকি হিমাঙ্গি সখী তিনি নিজেও এই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। একজন মানুষ সে কী করে মহা মান্ডলেশ্বর হিসেবে চিহ্নিত হলেন সঠিক জ্ঞান এবং তপস্যা বিদ্যা ছাড়াই, সেই নিয়েও তিনি জানিয়েছেন। হিমঙ্গি এও প্রশ্ন করেছেন...
এই ধরনের উপাধি দেওয়ার আগে আধ্যাত্মিক বোঝাপড়া এবং শৃঙ্খলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যে কোনও সন্ন্যাসিনীর জীবনে। সমালোচকরা যুক্তি দেখিয়েছেন, এই ধরনের কান্ডকীর্তি ঘটছে বলেই, আখড়ার পরিধি এত ক্ষীণ হচ্ছে। যে যা পারছে সাধু সন্তদের জায়গা একদম আর শুদ্ধ নয় বলেই বেশিরভাগের দাবি। অন্যদিকে, অনেকেই জানেন কিছুদিন আগেই IIT বাবাকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে আখড়া থেকে। তিনি নাকি ভুলভাল মন্তব্য করে বসতেন, এই অভিযোগেই বিতাড়িত। সেখানে, হঠাৎ করে এই নায়িকার এহেন ভোলবদল?
সম্ভবি পিঠের অধ্যক্ষ স্বামী আনন্দ স্বরুপ মহারাজ কঠোর ভাবে মমতার এই পদের এবং সন্ন্যাস গ্রহণে দ্বিমত জানিয়েছেন। তাঁর কথায়, "কিন্নর আখড়াকে স্বীকৃতি দিয়ে মহাকুম্ভে যা পাপ হয়েছে, যে ধরনের উশৃঙ্খলতা চলছে, এটা মারাত্মক। এটা সনাতন ধর্মের ক্ষতি। এটা সনাতনের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা। আমি মমতাকে বলেছিলাম, এই মানুষগুলোর ফাঁদে পা দেবেন না। নারীদের জন্য কোনও ত্যাগ নেই সেখানে। এমন জায়গায় যাবেন না যেখানে লোকে আপনার গায়ে থুতু ফেলবে। আমার অদ্ভুত লাগছে যে কিন্নর আখড়াকে মানুষ এভাবে তামাশা হিসেবে নিচ্ছে।"
উল্লেখ্য, গতকাল মমতার এই ভাইরাল ভিডিও দেখে অনেকেই চমকে উঠেছিলেন। কেউ কেউ তো এমন প্রশ্নও করেছেন যে আচমকা এই কান্ড কেন? আবার কেউ এমন বলেছিলেন, আজকাল কিছু না হলেই এসব করে পূণ্য অর্জন করা যায়।