Manasi Sinha As Debut Director: অভিনেত্রী হিসেবে নিজেকে যথেষ্ট প্রমাণ করার পর এবার তাঁর পরিচালক হিসেবে নিজের স্কিল দেখানোর পালা। মানসী সিনহা ( Manasi Sinha ) এবার কাজ করবেন পর্দার আড়ালে। এই প্রথম তিনি ডেবিউ ডিরেক্টর হিসেবে। সঙ্গে এক বিরাট স্টারকাস্ট। অপরাজিতা আঢ্য ( Aparajita Auddy ) এবং শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়কে ( Saswata Chatterjee ) সঙ্গে নিয়েই প্রথম পরিচালক হিসেবে কাজ করছেন তিনি।
Advertisment
ছবির উল্লেখ বহুদিন আগেই করেছিলেন মানসী সিনহা। তাবড় তাবড় সব অভিনেতাদের একই ফ্লোরে ডেকে, তাদের দিয়ে অভিনয় করানো নেহাতই সহজ কথা নয়। তারমধ্যে আবার পরিচালক হিসেবে বেশ কিছু টেকনিক্যাল বিষয় দেখতে হয়। এবার, সেসব কারিগরিতেই যেন শান দিলেন মানসী সিনহা। গত সপ্তাহে শাশ্বত চট্টোপাধ্যায় নিজেই এই ছবির পোস্টার প্রকাশ্যে এনেছিলেন।
আদ্যোপান্ত একটা মিষ্টি প্রেমের গল্প। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলার তরফে ফোন যেতেই নিজের পরিচালনা বিদ্যার ঝুলি উজাড় করে বসলেন সকলের প্রিয় মানসী দি। বললেন, "আমি কে যে অপা-অপুকে অভিনয় দেখাব? শুধু টেকনিক্যালি একটু দেখিয়ে দিয়েছি। বাকিটা তো, যখন ওরা অভিনয় করছে তখন তো কলিগ হিসেবে শুধু বসে বসে দেখেছি। তখন যেন আমি নিজেও ওদের থেকে কিছু শিখছি। নিজের ভাবনা গুলো শুধু শেয়ার করেছি ওদের সঙ্গে। বাকিটা, ওরা আমার এত ভাল বন্ধু। আর, নিজেদের সবটা দিয়ে ওরা কাজ করে। ফলেই আমার কোনও চাপ হয়নি।"
"শুধু ওদের কথা কেন বলব? সোহাগ মাসী ( অভিনেত্রী সোহাগ সেন ) আছেন..। আমায় বলছেন, তুই আমায় একটু দেখিয়ে দে, যে কিভাবে করব। আমি তো শুনে হাত পা কাঁপছে। বলেই ফেললাম, আমি আবার তোমায় কী দেখাব? সোহাগ মাসীর চরিত্রটা যেহেতু একটা পাঞ্জাবি চরিত্র। গোটা শুটিং জুড়ে আমায় বলে গেলেন, যে কিছু হচ্ছে না। আমি পারছি না, পারছি না। উনি বলেই দিলেন, যে ইচ্ছে করে আমায় এমন একটা চরিত্র দেওয়া হয়েছে। যাতে প্রমাণ করা যায় আমি অভিনয় পারি না...( হাসি )। এমনকি ডাবিং করতে এসেও। মানে, নানা কান্ড কারখানা। ও, হ্যাঁ! সোহাগ মাসীকে সবথেকে বেশি কিন্তু ডাবিং করতে সাহায্য করেছে মিঠু চক্রবর্তী।"
অপরাজিতা এবং শাশ্বত এর আগে জুটি বেঁধে কাজ করেননি। টুইস্ট রয়েছে তাঁদের চরিত্রে। দুজনে একটু বয়স্ক চরিত্রে কাজ করেছেন। দুজনের মধ্যে বেশ মিষ্টি একটা প্রেমের সম্পর্ক। পরিচালক হিসেবে কতটা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করলেন? নাকি অভিনয় করা সহজ? মানসী সিনহার কথায়, "ও বাবা! পরিচালক হওয়া অনেক কঠিন। সত্যি বলতে গেলে অভিনেতা হিসেবে তো অভিনয় করো, আর ডাবিং, শেষে প্রমোশন। কিন্তু এই যে পরিচালনার পর এত কাঠখড় পোড়ানো। সব ম্যাটিরিয়াল নিয়ে কাটাছেঁড়া করা, কত কিছু শিখলাম। কতগুলো পর্ব পেরিয়ে একটা ছবি রিলিজ করে। ডেবিউ পরিচালক শুধু না, ডেবিউ অনেককিছু। এডিটিং, মিক্সিং, আমি এত সূক্ষ্ম কাজগুলো সব হাতে কলমে শিখলাম।"
প্রথম কাজ পরিচালক হিসেবে। ভুল ত্রুটি লেগেই থাকে। আর তিনি সাফ জানালেন, "ভুল করতে তো অসুবিধা নেই। সেই থেকেই তো শিখতে হবে। আমায় আমার ক্যামেরা পার্সন হয়তো বলেছেন মানসী এটা এইভাবে শট নিলে খুব ভাল হয়। বা, হয়তো লাইটের যে ভাই ছিলেন সে বলেছে দিদি এটা হলে ভাল হয়। সবাইকে নিয়েই তো কাজ! আর আমাদের এত ভাব ভালবাসা ছিল সবার, কোনও সমস্যা হয়নি।"