ইন্ডাস্ট্রিতে থেকে লোভ এবং চাওয়া পাওয়া থেকে ক্রোশ দূরে থাকা মোটেই সহজ না। বর্তমান পরিস্থিতিতে এহেন উদাহরণ বেশ কম। বিশেষ করে চারপাশ নজরে আসলে বোঝা যায়, শিরদাঁড়া বলে এখন আদৌ কিছু নেই।
তবে, মানসী সিনহার নজরে একজন শ্রেষ্ঠ মেরুদন্ডযুক্ত মানুষ ছিলেন তরুণ মজুমদার। শেষদিন পর্যন্ত, তাঁর মেরুদন্ড সোজা ছিল, বেঁকে যাওয়া তো দুর কোনওদিন সেই সম্ভাবনাও দেখা যায়নি। তরুণবাবু চোখ থেকে গোটা অঙ্গ মরণোত্তর দান করে গিয়েছিলেন। এক সাক্ষাৎকারে মানসী সিনহার কাছে প্রশ্ন যায়, যদি সম্ভব হয় ওনার শিরদাঁড়াটা পাওয়ার?
আরও পড়ুন < বিয়ে হয়েছে নাকি জেল? বাঙালি মেয়ে বিপাশাকে বিয়ে করে শুধুই খিদমত খাটেন করণ! >
প্রশ্ন শুনেই চোখ বড় বড় করে উঠলেন তিনি। কারণ, এই দুর্মূল্য জিনিস কাউকে দেওয়াই ঠিক না। বললেন, "শিরদাঁড়াটা যে কাউকেই তিনি দিতেন, সে যে বিক্রি করে দেবেন না এটা তো এখনকার বাজারে বলা খুব মুশকিল। হিসেবের বাইরে এখন মানুষের লোভ। এর তো কোনও অন্ত নেই। আমার মনে হয়, যদি সম্ভব হতো উনার শিরদাঁড়া বাঁধিয়ে রেখে দেওয়া উচিত ছিল। কারণ, সবাই দেখে অন্তর বুঝতে পারতেন, যে আসলে মেরুদন্ড কাকে বলে। আর যারা সেটা বিকিয়ে ফেলেছেন তাঁদের লজ্জায় মাথা নামিয়ে নিত হত।"
সবসময়ই যেকোনও বিষয়ে তিনি বেজায় সক্রিয়। মন্তব্য করতেও তাঁর জুড়ি মেলা ভার। রাজনীতি হোক কিংবা সিনে দুনিয়া নিয়েও নিজের বক্তব্য রাখতে ভুল হয় না তাঁর। কিছুদিন আগেই মুখ খুলেছিলেন মণিপুর যৌন হেনস্থা নিয়ে।