Manasi Sinha Shooting Floor: শুটিং ফ্লোরে মানসী সিনার নতুন ছবি বেগুনি রঙের আলো। সেই ছবির শুটিং এ গঙ্গার পাড়ে ব্যস্ত ছিলেন অভিনেতারা। গতকাল বাগবাজার এলাকার কাশী মিত্র শ্মশান ঘাটে বসেছিল ক্যামেরা। গঙ্গা বক্ষে হচ্ছিল শুটিং। এবং, সেই ফ্লোরেই ক্যাপ্টেন অফ দ্যা শিপ মানসী। পরিচালক হিসেবে এটি তার তিন নম্বর ছবি। এর আগের দুটি ছবি, দারুণ জনপ্রিয়তা পায় দর্শকমহলে। এটা আমাদের গল্প এবং পাঁচ নম্বর স্বপ্নময় লেনের পর, মানসী প্রচণ্ড গরমে শুটিং করতে ব্যস্ত ছিলেন কাল।
কিন্তু গতকাল মানসীর এক সুপ্ত প্রতিভার সন্ধান পেয়েছে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা। ক্যামেরার আড়ালে বসে ছিলেন তিনি। সামনে মনিটর। সেখানেই সবটা দেখছেন, শুনছেন - এবং অর্ডার দিচ্ছেন। অভিনেতাদের সবটা বুঝিয়ে দিচ্ছেন। মানসী সিনহা, আদ্যোপান্ত অন্যরকম মানুষ। তিনি ভয়কে পরোয়া করেন না। সেটিকে জয় করতে শিখেছেন তিনি। তাই তো গঙ্গার পাড়ে যখন স্নান ঘাটে বসে শুটিং পরিচালনা করছেন তিনি, তখন যা করলেন...
Celeb Couple Break-up: মা হতে চান নায়িকা, গায়কের তাতে মর্জি নেই? সম্…
পুরোনো কলকাতার দেওয়ালে দেওয়ালে নস্টালজিয়া। তাঁর সঙ্গে সঙ্গে এই বর্ষায় যেন তাঁদের আনাগোনা বেড়েছে। দেওয়ালে এদিক ওদিক দেখা যাচ্ছে তাঁদের। পোকামাকড়দের উপদ্রবেও মানসী সিনহা এক ইঞ্চিও জায়গা ছাড়লেন না। বরং, যখন কেউ কেউ ভয়ে জড়সড়, সেটের অন্যান্য লোকজনকে ডেকে বলছেন দেয়াল থেকে তাঁদের সরিয়ে দিতে, মানসী যা করলেন, তাতে চমকে যেতে হয়। পরিচালক যেই দেখলেন দেওয়াল বেয়ে উঠছে সেই কেন্ন, তিনি শাড়ির আঁচল দিয়ে সেটাকে ঝেড়ে ফেলে দিলেন।
এটুকু বলাই বাহুল্য যে, মানসী সিনহা যেন khantron কে খিলাড়ি। তিনি যা কান্ড করলেন, সেটে উপস্থিত অনেকেই তাজ্জব বলে গেলেন। কিন্তু পরিচালক, নিজে সকলকে তাজ্জব বনে যেতে দেখে উল্টো প্রতিক্রিয়া জানালেন। কেউ বলছেন, এই সব কিট পোকামাকড় সাংঘাতিক, মানুষের ক্ষতি করে। কিন্তু মানসী... এসব তাঁর কাছে ছেলেখেলা। উল্টে তিনি সবাইকে অবাক করে দিয়ে বললেন, আমার বাড়ি যেখানে না, সামনে এতবড় বাগান। আমার বাড়িতে কেউ এলে আমি তাঁকে ঝুড়ি ভর্তি ভর্তি এসব দেখাতে পারব। এদেরকে হাটানো কোনও ব্যাপার?