Bollywood: শেখর কাপুরের ১৯৯৪ সালের ছবি 'ব্যান্ডিট কুইন' হিন্দি চলচ্চিত্র জগতকে এমন এক নতুন প্রজন্মের অভিনেতা উপহার দিয়েছে যারা মুম্বাইতে আসার পর দুর্দান্ত সাফল্য অর্জন করেছিলেন। এর মধ্যে মনোজ বাজপেয়ী, সৌরভ শুক্লা, গজরাজ রাও সহ আরও অনেকে ছিলেন। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সৌরভ জানিয়েছেন যে ১৯৯০-এর দশকে তারা তাদের উপার্জন নিয়ে খুব বেশি চিন্তিত ছিলেন না এবং তাদের ভবিষ্যৎ কেমন হবে তা নিয়ে খুব বেশি চাপেও ছিলেন না। সৌরভ বলেন যে, আজকের একজন সংগ্রামী অভিনেতার পক্ষে এতটা স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করা সম্ভব নয়, কারণ ব্যবসার অর্থনীতি এখন ভিন্ন।
ইউটিউব চ্যানেল ফিল্মোর ইন্ডিয়ার সাথে এক আড্ডায় সৌরভ বলেন, “আমি কখনো কল্পনাও করিনি যে আমি সিনেমায় কাজ শুরু করব।” তিনি জানান যে দিল্লিতে কয়েক বছর থিয়েটারে অভিনয় করার পর এবং শেখরের সাথে ব্যান্ডিট কুইন ছবিতে কাজ করার পর, তিনি মুম্বাইতে ক্যারিয়ার গড়ার আত্মবিশ্বাস অর্জন করেন । তিনি একজন চলচ্চিত্র নির্মাতা হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে শহরে চলে এসেছিলেন।
সৌরভ জানান যে তার বাবা-মা তাকে নিয়ে চিন্তিত থাকলেও, তার মনোভাব ছিল খুবই শান্ত। "আমার বাবা-মা চিন্তায় ছিলেন যে আমি কীভাবে আমার জীবিকা নির্বাহ করব। যদিও তারা নিজেরাও শিল্পী। তারা পুরোপুরি সচেতন ছিলেন যে শিল্পের ক্ষেত্রে অনিশ্চয়তার একটি স্তর রয়েছে। তারা চিন্তিত থাকতেন কিন্তু আমি কখনই এই বিষয়ে চিন্তার ধারেকাছে জেতাম না। আমি ভাবতাম, 'কিছু না কিছু ঠিক হয়ে যাবে'। আমি তখনও অপরিণত! আপনারা ভাবতে পারেন, 'আমি কোন বন্ধুর বাড়িতে খাবো অথবা মাঝে মাঝে যদি খিদের চোটে এদিক-ওদিক যেতাম, সেটার কোনো মাথামুণ্ডু ছিল না।"
মুম্বাইয়ে তার স্থানান্তরের কথা স্মরণ করে সৌরভ জানালেন যে তিনি মনোজের সাথে শহরে চলে এসেছিলেন এবং যখন তারা প্রথম এখানে থাকতে শুরু করেছিলেন তখন তারা দুজনেই রুমমেট ছিলেন। বললেন, “যখন আমি আর মনোজ এখানে চলে আসি, তখন আমরা ডিএন নগরে একটা ভাড়া ঘরে থাকতাম এবং সারা বছরের জন্য ২৪,০০০ টাকা ভাড়া দিতাম। যা তখন আমাদের জন্য অনেক বেশি ছিল। আমরা দুজনেই ১২,০০০ টাকা করে দিতাম। কিন্তু আমরা আত্মবিশ্বাসী ছিলাম যে কেউ আমাদের এক বছরের জন্য তাড়িয়ে দিতে পারবে না। আমরা ভেবেছিলাম আমাদের থাকার জায়গা আছে, আমরা খাবারও নিজের মত করে গুছিয়ে নেব। যে বেশি আয় করবে, তারা খাবারের ব্যবস্থা করবে এটাই প্ল্যানিং ছিল। কিন্তু এখন, পরিস্থিতি ভিন্ন। মুম্বাইতে একজন নতুন মানুষ কাজ করতে আসছে, যে এখানে থাকতে চায়, এবং যদি তাদের ৬০,০০০ টাকা দিতে হয়, তারা কীভাবে থাকবে? তাদের সেই উপভোগ করার বিলাসিতা নেই। তারা ভাবতে পারে না যে আমার কাছে টাকা না থাকলেও এটা ঠিক আছে। তারা কাউকে ৬ লক্ষ টাকা ভাড়া দিতে পারে? এটা অনেক টাকা।"