Manoj Kumar Death: সরকারের প্রিয়পাত্র মনোজ-ই একদিন চক্ষুশূল হয়ে ওঠেন, নায়কের ক্ষোভ ছিল ইন্দিরা-সঞ্জয় গান্ধীর প্রতিও...
Manoj Kumar Death - Indira Gandhi: একসময় তিনি দেশের মানুষের কাছে ভারত কুমার হিসেবেই পরিচিত ছিলেন। কিন্তু, ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে ছবি নিয়ে যখন কথাবার্তা চলছে, তারপরই সরকারের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক খারাপ হয়।
Manoj Kumar Death - Indira Gandhi: একসময় তিনি দেশের মানুষের কাছে ভারত কুমার হিসেবেই পরিচিত ছিলেন। কিন্তু, ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে ছবি নিয়ে যখন কথাবার্তা চলছে, তারপরই সরকারের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক খারাপ হয়।
Manoj Kumar: যা করেছিলেন মনোজ... Photograph: (file Photo)
Manoj Kumar Death-Indira Gandhi: মনোজ কুমার মানেই দেশাত্মবোধক ছবি। এবং মনোজ কুমার মানেই এমন কিছু সিনেমা, যা মানুষকে দেশ নিয়ে ভাবতে বাধ্য করত। একসময় সরকার পক্ষের সঙ্গে তাঁর দুর্দান্ত সম্পর্ক, নানা সময় দেশের প্রধানমন্ত্রীদের অনুরোধে তিনি নানা ছবিতে কাজ করতেন। সেই সব ছবি হিট পর্যন্ত হয়েছিল। কিন্তু, একটা সময় পর...
Advertisment
‘মেরি দেশ কি ধর্থী সোনা উগলে’ ... স্বাধীনতা দিবস মানেই তাঁর এই বিখ্যাত গান। একসময় তিনি দেশের মানুষের কাছে ভারত কুমার হিসেবেই পরিচিত ছিলেন। কিন্তু, ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে ছবি নিয়ে যখন কথাবার্তা চলছে, তারপরই সরকারের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক খারাপ হয়। মনোজ কুমার এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন এই প্রসঙ্গেই। জাতীয়তাবাদী ছবি বানিয়ে বানিয়ে তিনি যেভাবে নিজেকে প্রেজেন্ট করেছিলেন, তাঁকে সরকার সহজেই নিজের মুখপাত্র হিসেবে ব্যবহার করতে শুরু করেছিল। একটা সময় তো, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী লাল বাহাদুর শাস্ত্রীর কথামতই কাজ করেছিলেন।
তাঁকিন্তুর অনুরোধেই তিনি ১৯৬৭ সালে উপকার ছবিটি বানিয়েছিলেন। তারপর ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে একটি ছবি নিয়ে আলোচনা চলছিল তাঁর। কিন্তু, শেষ পর্যন্ত সেটি আর করে ওঠা তো হয়নি। বরং সরকারের সঙ্গে বাক বিতন্ডায় জড়িয়েছিলেন তিনি। সেই ছবির স্ক্রীপ্ট লিখছিলেন, সেলিম জাভেদ। তাহলে হলো না কেন? ছবির নাম ছিল নয়া ভারত। এবং ইন্দিরা গান্ধী অনুরোধ করেছিলেন, যেন ইমার্জেন্সির ওপর ভিত্তি কর এই ছবি বানানো হয়। কিন্তু, শেষ পর্যন্ত যা হল... তিনি এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন...
Advertisment
"ছবির নাম ছিল নয়া ভারত। আমি ইন্দিরা এবং সঞ্জয়ের সঙ্গে স্ক্রীপ্ট নিয়ে কথা বলেছিলাম। প্রথমে, চিত্রনাট্য তাঁদের পছন্দ হয়েছিল। এমনকি, তিনি এতে এক বিশেষ চরিত্রে অভিনয় করতেও রাজি হয়েছিলেন। কিন্তু, কয়েক মাস পর তিনি বলেছিলেন শুধু এই ছবিতে তিনি কন্ঠ দিতেই পারবেন। চিত্রনাট্য বদলাতে বলা হয়েছিল, এবং আমি এতে রাজি ছিলাম না। আমি সবটাই বাতিল করেছিলাম।" এরপরই সরকারের সঙ্গে তাঁর ঝামেলা শুরু হয়।
অভিনেতা জানিয়েছিলেন, নিজেকে এমন এক জায়গায় দেখতে পেয়েছিলেন, যেখানে সরকারের বিরুদ্ধে তিনি মামলা করতে বাধ্য হয়েছিলেন। কিন্তু সেই ২১ মাসের ব্যবধানে যখন দেশের অনেক ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি, তখন হিন্দি সিনেমা নানা থ্রেটের মধ্যে দিয়ে গিয়েছিল। অভিনেতা জানান, সিনেমা মুক্তির মাত্র দুই সপ্তাহ পরেই টেলিভিশনে কিছু সময়ের জন্য সেটা সম্প্রচারিত করা যেত। এবং একারণেই তাঁর ছবির ব্যবসায় প্রভাব পড়তে শুরু করে। পরপর দুটি ছবি - ১৯৭২ এর শোর এবং ১৯৭৬ এর দশ নম্বরি - দুটো ছবিই টেলিভিশনের সম্প্রচারের ফলে নানা সমস্যায় পরে। এবং এত ক্ষতির পর তিনি আদালতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। এবং কেস জিতে যান।
মনোজের দারুণ ক্ষমতা ছিল। তিনি সিনেমার এক কান্ডারী ছিলেন। অনেকে মনে করতেন, তিনি সব পারেন। তিনি তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের সঙ্গে যেমন ঘনিষ্ঠ ছিলেন ঠিক তেমনই, তিনি শোলে ছবিকে সেন্সর বোর্ড থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে এসেছিলেন। কিন্তু, সেই ঘটনার পর থেকে সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ হয় তাঁর।