আমার নাম জানেন কি? এম এম! একেবারেই কুল ইমেজের বিন্দাস মদন মিত্র বাংলার সকলের ভালবাসার মানুষ। তাঁর একটা ফেসবুক লাইভ হোক কিংবা ছবি সোশাল মিডিয়ায় ঝড় উঠতে শুধুই এক সেকেন্ড! তাঁর নতুন মিউজিক ভিডিও, “ ইন্ডিয়া ওয়ানা হ্যাভ হার বেটিয়া ” - রিলিজ করেছে সম্প্রতি। তারপর থেকেই বহুমুখী চর্চার শেষ নেই। ভিডিওতে দুর্গা সাজে দেখা গিয়েছে অভিনেত্রী মানসী সেনগুপ্তকে আর এখানেই বিঁধেছে ট্রোলের নিশানা।
মদন মিত্রের এই মিউজিক ভিডিও নেটিজেনদের কাছে গল্পরসের ভাণ্ডার। আর মানসীর দূর্গারূপী সাজ নেটজনতার কাছে ট্রোলের বিষয়। সেই নিয়েই নির্মাতা থেকে আমজনতা সকলের প্রতি যথেষ্ট ক্ষুব্ধ তিনি। কী বললেন অভিনেত্রী? নিজের ফেসবুকে পোস্ট করে তিনি লিখেছেন, অনেকেই জিজ্ঞেস করছেন এই ভিডিওতে তাঁর অভিনয় করার কারণ কী? বড় বাজেটের বলেই রাজি হয়ে যান এই পুজো অ্যালবামের জন্য। তিনি কখনও ভাবতেও পারেননি এমন একটি ভাইরাল ভিডিওর কারণে নেগেটিভ পাবলিসিটির শিকার হবেন।
মানসী অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে লিখেছেন, 'মা দুর্গার চরিত্র বলেই আগা মাথা না ভেবে আমি রাজি হয়েছিলাম। তবে সঠিক ভাবে এই চরিত্র ক্যামেরায় তুলে ধরা হয়নি এবং সেই কারণেই মানুষের নেতিবাচক মন্তব্য ক্রমশই বাড়ছে। এরকম পরিচিতি চাই না। রাজনীতি কিংবা রাজনীতিবিদদের সঙ্গে কোনওরকম সম্পর্কই নেই আমার এবং আমি চাইও না।' যথেষ্ট উৎসাহী ছিলেন কাজ নিয়ে কিন্তু এর ফল এমন হবে সেটি আশাই করেননি মানসী।
মনের দিক থেকে ভেঙে পড়েছেন তিনি। এখন তার নিজস্ব অভিব্যক্তি, কাজটা না করলেই বোধহয় ভাল হত। নিজেকে নিয়ে মিম হোক এমনটা একেবারেই চান না তিনি। তবে বিধায়ক মদন মিত্রের উপর তাঁর কোনও রাগ নেই। নির্মাতাদের উদ্দেশ্যেই ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আগে থেকে প্রোডাকশন এবং টিম নিয়ে তল্লাশি চালালেই আদতে কাজে দিত। অভিনেত্রীর দাবি, কেরিয়ারের শুরুতে অনেক খেটেছেন, এখন আর এইসব নিয়ে জীবনকে ব্যতিব্যস্ত করতে চান না।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন