শেষ কিছুদিন খেয়াল করলে দেখা যাবে, সমাজ মাধ্যম জুড়ে একটাই গান ভয়ংকর জনপ্রিয়তা পেয়েছে। কিছু কিছু সময় এমন গান আসে, যা মানুষকে একেবারে নাড়িয়ে দিয়ে চলে যায়। পুরনো দিনের গান তো বটেই তবে বর্তমান সময়ে, বেশ কিছু গান আছে যা মানুষের বেশ মনে ধরেছে। বিশেষ করে instagram এখন বর্তমানে সাইয়ারা গ্রাম। অহন পান্ডে এবং অনীত পদ্দা অভিনীত ছবি সাঁইয়ারার গান মানুষের মনে এত ধরেছে, কল্পনাই করা যায় না।
বিশেষ করে এই ছবির টাইটেল ট্রাক সকলের খুব পছন্দ হয়েছে। এবং তার নেপথ্যে রয়েছেন যে তিন কান্ডারী, তাদের দুজনকে অনেককে চেনেন না কিন্তু তনিস্ক বাগচীকে অনেকেই চেনেন। শুধু চেনা বললেই ভুল হবে, তাদের দুজনের গান অনেকে শোনেন নি পর্যন্ত। কিন্তু ফাহিম আব্দুল্লাহ এবং আরসলান নিজলানি যে ম্যাজিক ক্রিয়েট করেছেন। তারা বাহবা পাওয়ার যোগ্য। কিন্তু কে এই দুই ব্যক্তি? তারা এমন এক জায়গার মানুষ, যেখানে বিতর্ক লেগেই থাকে। যে জায়গার নাম শুনলে অনেক মানুষের আত্মাও কেঁপে ওঠে। কিন্তু সেই জায়গা থেকেই আজকে বোম্বেতে নিজেদের কেরিয়ার গঠনে নেমে পড়েছেন তারা।
আরসলান এবং ফাহিম - দুজনেই ভূস্বর্গ কাশ্মীরের বাসিন্দা। আর্সলান, আসলে একজন সিভিল ইঞ্জিনিয়ার এবং পার্ট টাইম কম্পোজার। কাশ্মীরে ছোটখাটো গান গেয়ে তাঁরা লোকের মন জয় করেছিলেন। এখানেই তারে জনপ্রিয়তা ছড়িয়ে পড়ে। কিন্তু নিজেদেরকে আটকে রাখতে চাননি সেখানে, বরং, নিজেদের গানকে সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে দিতে মুম্বাই আসার কথা ভেবেছিলেন। ফাহিম এর আগে ইউটিউবে কয়েকটি গান প্রকাশ করেন। আর্সলান নিজের চাকরিতে ইস্তফা দিয়েই স্বপ্ন সফল করতে সেখানে আসেন। সঙ্গে ছিল হাতে গোনা কয়েকটি টাকা।
আরসলান ফাহিমকে তার দলে নিয়েছিলেন। এবং ১৪ দিনের মতো খরচ করতে পারবেন এমন টাকা নিয়ে চলে আসুন মুম্বাইতে। সেখানে এসেই তাদের স্বপ্নকে ধাওয়া করতে শুরু করেন তারা। যখন মনে হচ্ছিল যে আরতো মাত্র দুদিন বাকি তিন দিন বাকি, ঠিক শেষ দিনের আগের দিন মানে ১৩ তম দিনেই তাদের তানিশক বাগচীর সঙ্গে দেখা হয়। তাদের ট্যালেন্ট দেখে এতটাই মুগ্ধ হন মিউজিক কম্পোজার, যে সঙ্গে সঙ্গে ফাহিম এবং আর্সলানকে সাইয়ারার মিউজিক জার্নিতে সামিল করে নেন। তারপরের গল্প সকলেরই জানা। এই গান ইনস্ট্যান্ট হিট হয়। এবং রাতারাতি তাদের ভাগ্য পাল্টে যায়। কিছুদিন আগেই ফাহিম এবং আর্সলান কাশ্মীরের ডাল লেকে বসে এই গানটি আরেকবার গেয়ে শোনান। এবং তাদেরকে বলতে শোনা যায়, বলিউডে কাজ করবো কোনদিন আমরা ভাবতেও পারিনি। আমাদের গান যে বিগ স্ক্রিনে শোনা যাবে এটাই আমাদের কাছে বিরাট পাওয়া।