মঙ্গলে ঊষা, বুধে পা যেথায় খুশি, সেথায় যা! এই প্রবাদকে সঙ্গী করেই বুধবার থেকে টলি পাড়ায় শুরু হচ্ছে ধারাবাহিকের শ্যুটিং। নতুন এবং পুরনো সব মেগা ধারাবাহিকের শ্যুটিংয়ের কাজ শুরুর সিদ্ধান্ত হয়েছে। এদিন বিকেলে প্রযোজক সংস্থা, কলাকুশলী এবপ্নগ আর্টিস্ট ফোরামের একটি অভ্যন্তরীণ বৈঠক হয়েছে। ফেডারেশনের সভাপতি স্বরূপ বিশ্বাস, রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, বিধায়ক-পরিচালক রাজ চক্রবর্তী-সহ প্রযোজকরা এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। সেখানেই সমস্যা সমধানে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
জানা গিয়েছে, পারস্পরিক আলোচনার মাধ্যমে ভুল বোঝাবুঝি দূর করে শ্যুটিং শুরুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ভোট পরবর্তী সময়ে ফেডারেশন-প্রযোজক সংস্থার বিবাদে বহুবার আটকেছে ধারাবাহিকের কাজ। করোনা পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রীর অনুমতিতে শ্যুটিং শুরু অনুমতি মিললেও, সমস্যায় জেরবার হয়ে এগোয়নি কাজ। মানবিক কারণে এগিয়ে এসে সমস্যা সমাধানে হস্তক্ষেপ করেন মুখ্যমন্ত্রী, পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় এবং রাজ চক্রবর্তী। ফেডারেশন এবং প্রযোজকদের মধ্যে সেতুবন্ধনের কাজ করছিলেন তাঁরা। কিন্তু তার পরেও নতুন ধারাবাহিকের শ্যুটিং বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।
গত শনিবার বেনামি এক বিজ্ঞপ্তি একাধিক নতুন ধারাবাহিকের শ্যুট থমকে গিয়েছিল। এদিকে, টলিপাড়ায় ধারাবাহিকের শুটিং নিয়ে একটার পর একটা বিতর্কে এতদিন থমকে মেগা সিরিয়ালের কাজ। শনিবার স্টুডিওপাড়ায় বেনামী একটা বিজ্ঞপ্তি পড়েছিল। সেই বিজ্ঞপ্তিতে বলা, ‘ডব্লিউএটিপি (মেগাসিরিয়ালের প্রডিউসার ইউনিয়ন) যতদিন না পর্যন্ত ফেডারেশন এর সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করছে, ততদিন পর্যন্ত আমরা কোনও নতুন কাজ (মেগা সিরিয়াল) শ্যুটিং এবং সেটের কোনও রকম কাজ করব না।’
সেই বিজ্ঞপ্তিতে আরও দাবি, ‘এটা সকলের সম্মিলিতভাবে গৃহীত সিদ্ধান্ত। সবাইকে অনুরোধ, এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে যেন সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়া হয়।‘ তবে কোন সংগঠনের তরফে এই হুলিয়া এখনও স্পষ্ট হয়নি। ফেডারেশন কিংবা গিল্ডের সদস্য কারও থেকে স্পষ্ট কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। এর আগে শুটিং নিয়ে একটা জটিলতা অবশ্য তৈরি হয়েছিল, কিন্তু সেই জটিলতা কাটাতে মুখ্যমন্ত্রীর তরফে রাজ চক্রবর্তী, পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় মধ্যস্থতা করেছিলেন।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন