জন্মদিনে গোয়ার সমুদ্র সৈকতে নগ্ন হয়ে দৌড়ানোয় মিলিন্দ সোমানকে (Milind Soman) নিয়ে তুমুল বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছিল। মডেল-অভিনেতার বিরুদ্ধে দায়ের হয়েছিল এফআইআরও। গোয়ার সংস্কৃতি নষ্ট করার অভিযোগ উঠেছিল মিলিন্দের বিরুদ্ধে। এতসব বিতর্কের মাঝেও এযাৎকাল এই প্রসঙ্গে কোনওরকম মন্তব্য করেননি তিনি। এবার নগ্ন দৌড় বিতর্কে মুখ খুললেন বছর পঞ্চান্নর অভিনেতা।
বিতর্ক নিয়ে মিলিন্দের সাফ মন্তব্য, "নগ্ন হওয়াটা যে অন্যায় সেটা জানা ছিল না। ভগবান তো আমাদের নগ্ন করেই পাঠিয়েছেন। আজকাল তো সোশ্যাল মিডিয়া খুললেই নগ্নতার ছড়াছড়ি। এগুলো তো এক ধরনের ব্যক্তিস্বাধীনতা! তবে হ্যাঁ, সবার আলাদা আলাদা দৃষ্টিভঙ্গি। কিন্তু আমার মনে হয় যেটা বাস্তব, সেটা লুকনোর কী দরকার? বাস্তব জীবনে আমরা এমনিতেও প্রচুর কিছু লুকোই। নগ্নতাকে কে, কীভাবে দেখাচ্ছে নিশ্চয় গুরুত্বপূর্ণ। কতটা দেখালে অতিরিক্ত হতে পারে, সেটাই ভাবার বিষয়। কিন্তু লুকনোর কোনও জায়গা নেই। ওয়েব সিরিজ কিংবা সিনেমার দৃশ্যে আপনার যদি যৌনতা, বিদ্বেষ কিংবা রক্তারক্তি দেখতে না ভাল লাগে, তবে দেখবেন না। সেটা আপনার একান্ত ব্যক্তিগত বিষয়। আমি ইনস্টাগ্রামে নগ্ন ছবি আপলোড করেছি। কোথায়, ওদের তো কোনও সমস্যা নেই। আমার পেজ থেকে সেই ছবি তুলেও নেয়নি ওরা। তার মানে ওরদের কাছে নগ্নতা কোনও ইস্যুই নয়।"
এখানেই শেষ নয়! মিলিন্দ এর পাশাপাশি এও বলেন যে, "আপনি যদি এমন কোনও ফটোগ্রাফারকে চেনেন যিনি এর আগেও নগ্নতার ছবি তুলেছেন, তাহলে তিনি আবারও সেটা তুলবেন। আর তুলবেন না-ই বা কেন? কারণ এতে তো কোনও ভুল নেই। আমি তো পেশাদারভাবেই এটা করেছি। কখনও ম্যাগাজিনের জন্য, আবার কখনও বা সংবাদপত্রের মডেল হিসেবে। এমনকী একজন অভিনেতা হিসেবে বহু যৌন দৃশ্যেও অভিনয় করেছি। আর তাই আমার মনে হয়, এরকম কোনও ছবি আমার ইনস্টাগ্রাম পেজে না রাখার তো কোনও কারণ নেই! আপনি আমায় ফলো করতে চাইলে করবেন, নচেৎ করবেন না।"
আসলে নগ্নতা নিয়ে বরাবরই কোনও ছুঁৎমার্গ নেই মিলিন্দের। নিজের শর্তেই জীবন কাটাতে পছন্দ করেন। এর আগেও ১৯৯৫ সালে এক জুতোর বিজ্ঞাপনে তৎকালীন বান্ধবী মধু সাপ্রের সঙ্গে নগ্ন ফটোশুট করে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন মিলিন্দ সোমান।