"নর্থ-ইস্ট পার্টি?.. ও চিঙ্কি?".. এধরনের খোঁটা প্রায়ই শুনতে হয় উত্তর-পূর্ব ভারতের বেশ কিছু রাজ্যের বাসিন্দাদের। বিশেষ করে, প্রত্যন্ত অঞ্চলে নিজেদের বাড়ি ছেড়ে পড়ুয়ারা যখন বাইরের রাজ্যের স্কুল-কলেজে পড়তে আসে। কখনও বা তাঁদের শারীরিক গড়ন আবার কখনও বা তাঁদের চেহারা, চোখ-মুখ নিয়ে বৈষম্যের শিকার হতে হয়। এককথায়, 'চিঙ্কি' 'চাইনিজ' নামের পরিবর্তে এগুলোই সম্ভবত ওঁদের পরিচয় হয়ে উঠেছে। এবার সেই প্রেক্ষিতেই গর্জে উঠলেন মিলিন্দ সোমানের (Milind Soman) স্ত্রী অঙ্কিতা কোনওয়ার (Ankita Konwar)।
অঙ্কিতা নিজেও অসমের মেয়ে। প্রেম করে সংসার বেঁধেছেন খ্যাতনামা মডেল তথা অভিনেতা মিলিন্দের সঙ্গে। দম্পতির বয়সের ফারাক নিয়ে হাজারও সমালোচনা হলেও তাঁদের সম্পর্কে এর কোনও প্রভাব পড়েনি। সেই অঙ্কিতাই এবার অলিম্পিকে দেশের নামোজ্জ্বল করা মীরাবাঈ চানু (Mirabai Chanu) প্রসঙ্গ তুলে বিস্ফোরক মন্তব্য করে বসলেন।
<আরও পড়ুন: ‘রতিক্রিয়াপ্রেমী দিদিমণি, মিডলাইফ ক্রাইসিসে ভুগছেন’, শ্রীলেখাকে কটাক্ষ রিমঝিমের>
মীরাবাঈ চানু মণিপুর ইমফলের মেয়ে। উত্তর-পূর্ব ভারতের এই কন্যা টোকিও অলিম্পিকে দেশের হয়ে রূপা জিতেছেনয তার সাফল্যে যখন গোটা দেশ উচ্ছ্বসিত, সেটাকেই প্রতিবাদী হাতিয়ার করে তুললেন মিলিন্দের স্ত্রী। একেবারে সোজা-সাপটা ভাবে বললেন, "হিপোক্রিটস সব।" ভারতের হয়ে মেডেল জিতলেই নর্থ-ইস্টের লোকদের নিয়ে হইচই করা হয়।
অঙ্কিতা কোনওয়ারের কথায়, "আপনি যদি উত্তর-পূর্বের বাসিন্দা হন, তাহলে একমাত্র পদক জিতলেই ভারতীয় হিসেবে মর্যাদা পেতে পারেন। নইলে তো আমাদের পরিচয়- চিঙ্কি, চাইনিজ, নেপালি আর হ্যাঁ, এই তালিকার নয়া সংযোজন করোনা। নিজের অভিজ্ঞতা থেকে বলছি। হিপোক্রিটস সব। ভারতের মতো দেশে শুধু জাতিভেদ নয়, ভয়ঙ্করভাবে বর্ণ বিদ্বেষও আছে।"
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন