ফ্যাশনে পুরুষ মডেলদের মধ্যে যাকে এক কথাতেই সবাই চেনে, তিনি মিলিন্দ সোমান। মডেলিং জগতের প্রত্যেকেই একবার অন্তত চান জীবনের একটি ফটোশুট তার সঙ্গেই হোক। বেশ খানিকটা বয়সেই বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন অঙ্কিতা কন্বরের সঙ্গে। চার হাত এক হওয়ার পর থেকেই অনেক মন্তব্যের সাক্ষী দুজনেই। তবে কথায় বলে ভালবাসা বয়স ধর্ম কিছুই মানে না। নিজের কাছের মানুষের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি পূর্ণ করতে চান অনেকেই তবে সম্পূর্ণ হয় কি? মিলিন্দ আর অঙ্কিতার গল্পঃ ঠিক সেরকম!
Advertisment
অঙ্কিতার পোস্ট করা একটি ভিডিও তার লড়াইয়ের প্রতিটা মুহূর্ত সংক্ষেপে তুলে ধরেছে। তার সঙ্গে বার্তা দিয়েছেন নিজেকে ভালবাসার। ইনস্টাগ্রামে জানান, ছোটবেলায় নির্যাতিত হয়েছেন, হোস্টেলে বড় হয়েছেন, বিদেশে একা বসবাস করেছেন, ভাই এবং বাবাকে হারিয়েছেন। তার রূপ এবং চেহারা নিয়ে নানান কটূক্তি শুনেছেন। প্রাক্তন প্রেমিককে হারিয়েছেন। এমনকি বর্তমান সময়ে দাড়িয়েও তার ভালোবাসার মানুষকে নিয়ে নানান কথা শুনেছেন। তারপরেও তিনি নিজেকে ভালবাসেন। আশা কখনই ছাড়তে নেই। তাঁর এই পোস্টের পর প্রচুর সাধুবাদ তিনি পেয়েছেন। অদম্য মনের সাহস এবং জীবনে বেঁচে থাকার রসদ যে কখনই হারিয়ে ফেলেন নি এটিই তার শক্তির পরিচয়।
যথারীতি স্বামী মিলিন্দের থেকে ভরসার হাত যেমন পেয়েছেন তেমনই পোস্টের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন “অনেক দূর তুমি লড়াই করে একাই এগিয়ে এসছো।”পাশে থাকার জন্য মিলিন্দকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন অঙ্কিতা। প্রসঙ্গত অঙ্কিতা এবং মিলিন্দের বিয়ের পর থেকেই তাদের বয়স প্রসঙ্গে হাজার রকম খারাপ কথা শুনে দিন কেটেছে তাদের। অঙ্কিতা এর আগেও এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, প্রাক্তন প্রেমিকের মৃত্যুশোক তাকে সাংঘাতিক ভাবে ভেঙ্গে দিয়েছিল। মানসিক ভাবে ক্ষতবিক্ষত হয়ে পড়েন তিনি। তবে নিজেকে এগিয়ে নিয়ে যেতে কোনোভাবেই পিছপা হননি, পরবর্তীতে কাজের সূত্রেই মিলিন্দের সঙ্গে দেখা হয়। তারপরেই প্রেম থেকে পরিণতি।
ভাল আছেন দুজনেই। একসঙ্গে গোটা বিশ্ব ঘুরে দেখার স্বপ্ন নিয়ে বেড়িয়ে পড়েন মাঝে মধ্যেই। অনুরাগীদের উদ্দেশ্যে নিজেদের সারাদিনের কার্যক্রম শেয়ার করেন। কথায় বলে না ভরসার হাত থাকলে সব কিছুই অতিক্রম করা যায়।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন