মিমি চক্রবর্তীর ফ্যানেদের কাছে নিঃসন্দেহে বড় খবর। সাংসদ হওয়ার পর প্রথমবার বড়পর্দায় আসছেন তিনি। নির্বাচনের সময় বিরসা দাশগুপ্তর 'বিবাহ অভিযান'-এর কাজ ছেড়ে দিতে হয়েছিল নায়িকাকে। সাংসদ হওয়ার মাস দশেক পর টলিউডের প্রথম সারির প্রযোজনা সংস্থার সঙ্গেই ফের জুটি বাঁধলেন মিমি। পরিচালক দেবালয় ভট্টাচার্যর পরিচালনায় 'ড্রাকুলা স্যার'-এ সেলুলয়েডে প্রত্যাবর্তন করছেন মিমি। ছবিতে নায়িকা-সাংসদের বিপরীতে রয়েছেন অনির্বাণ ভট্টাচার্য।
ছবিতে মুখ্য চরিত্রে অনির্বাণ। স্কুলের শিক্ষক রক্তিমের (অনির্বাণের চরিত্রের নাম) ক্যানাইল টিথ থাকার কারণে ছাত্ররা তাকে ড্রাকুলা স্যার বলে ডাকে। ছবিত মিমির চরিত্রের নাম মঞ্জরী। সে একজন বিধবা। ১৯৭১ সালও গল্পের প্রয়োজনে এসেছে। ১০ জানুয়ারি থেকে কলকাতাতেই শুরু হবে শুটিং।
দেবালয় ভট্টাচার্যর ছবি 'ড্রাকুলা স্যার'-এর পোস্টার।
আরও পড়ুন, বছর শেষে ফিরে দেখা, বাংলা সিনেমার সেরা ১০
দেবলায়ের কথায়, ''ছোটবেলা থেকেই আমার ড্রাকুলা প্রীতি রয়েছে। অনেকদিন থেকে ভাবছিলাম বাংলায় একটা ড্রাকুলা কাহিনি তৈরি করব। গল্পটা প্রায় দশ বছর ধরে লেখা। স্কুলে পড়া একজন শিক্ষকের গজ দাঁতের কারণে সে ড্রাকুলা স্যার। ঘটনাক্রমে যে ড্রাকুলার আখ্যা পায়, কিন্তু ভ্যাম্পায়ার হতে গেলে তার নিজের তো একটা গল্প প্রয়োজন, সে কারণেই ১৯৭১-এর প্রেক্ষাপট নিয়ে আসা।''
এই সাইকোলজিক্যাল থ্রিলারে মিমিকে নেওয়ার কারণ হিসাবে পরিচালক বললেন, ''বরাবরই মিমি আমার পছন্দের অভিনেত্রী। ওর মধ্যে অদ্ভুত একটা বিষন্নতা রয়েছে, যেটা এই চরিত্রের জন্য প্রয়োজন। তাছাড়া আমার মনে হয় গানের ওপারে-র পর ওকে সেভাবে এক্সপ্লোর করা হয়নি।''
আরও পড়ুন, আমার শিক্ষা অত নয় যে সিনেমার মাধ্যমে কাউকে শিক্ষিত করব: রাজা চন্দ
এই সময় দাঁড়িয়ে কলকাতার ড্রাকুলার গল্প বলতে চান দেবালয়। এর আগে বড়পর্দায় 'বিদায় ব্যোমকেশ'- পরিচালনা করেছিলেন তিনি। ভেঙ্কটেশের প্রযোজনাতেই 'মন জানে না'-র মিমির শেষ ছবি ছিল। তারপরেই আবার দর্শকদের মোহিত করতে ফিরছেন নায়িকা সাংসদ।