Mimi Chakraborty, Nusrat Jahan: নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পরে আপাতত সব সাংসদই পাড়ি দিয়েছেন দিল্লিতে। সারা দেশ থেকেই সাংসদরা গিয়েছেন সেখানে। প্রত্যেক রাজনৈতিক দলই তাদের সাংসদদের নিয়ে বৈঠক করছে। যাঁরা এবছর প্রথম সাংসদ হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন,তাঁদের মধ্যে স্বাভাবিকভাবেই দারুণ উদ্দীপনা। মিমি চক্রবর্তী ও নুসরত জাহানও সেই দলেই পড়ছেন। সংসদের সামনে তাঁদের ফোটোসেশন দেখে তো অন্তত তেমনটাই মনে হচ্ছে।
সম্প্রতি সংসদের সামনে দাঁড়িয়ে ছবি তুলেছেন বাংলার দুই কনিষ্ঠতম সাংসদ। সোশ্যাল মিডিয়াতেও পোস্ট করেছেন সেই সব ছবি। আর তার পরেই প্রায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছে ছবিগুলি। দুই নায়িকার অগুনতি ফ্য়ানেরা ছড়িয়ে রয়েছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। একাধিক ফ্যানপেজ, ইনস্টাগ্রামে অগুনতি ফ্য়ান হ্য়ান্ডলও রয়েছে। বিশেষ করে জনপ্রিয় হয়েছে দুজনের একসঙ্গে তোলা, সাংসদের কার্ড হাতে একটি ছবি।
আরও পড়ুন: দ্বিতীয় অধ্যায়, সাংসদ নুসরত জুনেই বিয়ের পিঁড়িতে!
নুসরত ও মিমি দুজনেই অনেক ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন। যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রে মিমি জিতেছেন ২ লক্ষ ৯৫ হাজারেরও বেশি ভোটে। আর বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রে নুসরত জিতেছেন ৩ লক্ষ ৫০ হাজারেরও বেশি ভোটে। প্রথম নির্বাচনেই এই সাফল্যে দুই নায়িকাই অত্যন্ত আপ্লুত। মানুষের জন্য মন দিয়ে কাজ করতে চান, এমন কথাই বার বার বলেছেন তাঁরা।
কিন্তু সংসদ অত্যন্ত কঠিন একটি জায়গা, বিশেষ করে বিরোধীপক্ষের সাংসদদের কাছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক ডিবেটে অংশগ্রহণ, চূড়ান্ত বাগবিতণ্ডার মধ্যেও নিজের বক্তব্যকে পেশ করা বেশ কঠিন। বাংলা ছবির জগৎ থেকে দেব ও মুনমুন সেন ইতিমধ্যেই তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ হিসেবে দীর্ঘ সময় কাটিয়েছেন সংসদে। কিন্তু সংসদে তাঁরা খুব একটা মুখ খোলেননি।
আরও পড়ুন: ভোট শেষ, শুটিংয়ে ফিরলেন দেব
মিমি ও নুসরত কী করেন, সেই দিকেই তাকিয়ে এখন রাজ্যবাসী। নির্বাচনের প্রার্থী হিসেবে নাম ঘোষণার পর থেকেই সোশ্য়াল মিডিয়ায় অসম্ভব ট্রোলড হতে হয়েছে এই দুই তারকাকে। তার মধ্য়ে বেশিরভাগ ট্রোলেরই বক্তব্য় ছিল, রাজনৈতিক জ্ঞান ও মেধা ছাড়াই কীভাবে এই দুই অভিনেত্রী সাংসদ হতে পারেন?
সেই ট্রোলের পাল্টা ট্রোলও দেখা গিয়েছে যেখানে বলা হয়েছে যদি অশিক্ষিত এবং দাগী আসামীরা সাংসদ হিসেবে নির্বাচিত হতে পারেন তবে দুই তারকা নায়িকা কেন নয়? সেই সব ট্রোলের জবাব দেওয়ার সময় এসেছে। দেখা যাক ঠিক কীভাবে সাংসদ হিসেবে নিজেদের যোগ্য়তা প্রমাণ করেন দুই অভিনেত্রী।