দুর্যোগ এভাবেই আসে। একে করোনা রুখতে দু'মাসেরও বেশি সময় ধরে লকডাউন, তার উপর সুপার সাইক্লোন আমফানের দাপট। তছনছ হয়েছে তাঁর সংসদীয় এলাকা। অভিনেত্রী হিসেবে নয়, এলাকার সাংসদ হিসেবেই কর্মী পাশে দাঁড়ালেন যাদবপুরের সাংসদ মিমি চক্রবর্তী। এলাকা পরিদর্শনের পাশাপাশি গাছ কাটতে আসা কর্মীদের কেক ও জলও তাঁদের হাতে তুলে দেন। শহরের ছন্দ ফেরাতে বদ্ধপরিকর সাংসদ ত্রাণও তুলে দেন গৃহহারাদের।
গত বুধবার আমফান তান্ডবের পর এখনও অবিন্যস্ত শহর। বহু জায়গায় গাছ ভেঙে পড়ায় ছিঁড়েছে বিদ্যুৎয়ের খুঁটি। এক সপ্তাহ পেরিয়ে আঁধার এখনও রয়েছে শহরের বেশ কয়েকটি এলাকায়। এদিকে বিদ্যুৎকর্মী ও বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের সদস্যদের নিয়ে বিক্ষোভের ছবিও দেখেছে মহানগর। সেই পরিস্থিতিতে শহরবাসীকে বার্তা দিতে এবং কর্মীদের উৎসাহ দিতে ফের স্বমহিমায় মিমি।
গাছ কাটার শ্রমিকদের জল দিচ্ছেন মিমি।
আরও পড়ুন, বিতর্কে পাতাল লোক, অনুষ্কার নামে অভিযোগ দায়ের বিজেপির
সোশ্যাল মিডিয়ায় সেকথা জানিয়েছেন অভিনেত্রী তথা যাদবপুরের সাংসদ বলেন, "গড়িয়া ,পাটুলী,গল্ফগ্রিন ও যাদবপুরের বিস্তীর্ণ এলাকাগুলোতে পরিস্থিতি পুনরায় সচল করবার কাজ চলছে .. আমাদের জন্য এই উত্তাপের মধ্যেও যারা নিরলসভাবে চব্বিশ ঘন্টা কাজ করছেন তাদের জলের বোতল , বিস্কুট, মুড়ি, গ্লুকোজ জল দিয়ে আপনি যদি পারেন তবে সাহায্য করুন .. (যেমনটি আমরা বলে থাকি শক্তি পেলে কাজ আরো ভালো হবে)... এটাই মানুষকে বলার যে আমাদের কাজ চলছে .. এটা একটা ছোটখাটো দুর্যোগ হয়নি , তবু আমরা চেষ্টা করছি পরিস্থিতি ঠিক করবার জন্য.. পাশে থাকুন একটু ওই মানুষ গুলোকেও সাহায্য করুন যারা বিদ্যুৎ ঠিক করতে এবং গাছ কাটতে আসছেন। আপনার একটু সহযোগিতা পেলে ওরাও কাজ টা তাড়াতাড়ি করবে .. ওদের সাথে কোনোরকম ঝামেলা করবেন না .. আপনাদের কাছে অনুরোধ করছি ..ভালো থাকবেন।"
প্রসঙ্গত, যেদিন আমফান বাংলায় আছড়ে পড়ে সেদিন মিমি তার টুইটারে একটি ভিডিও পোস্ট করেছিলেন। অভিনেত্রী তথা সাংসদ মিমি চক্রবর্তী একটি টুইট করে বলেন, “আমার বাড়ির জানলা যে কোনও সময় ভেঙে যেতে পারে। এই বছর সব চেয়ে সাংঘাতিক জিনিসগুলির অভিজ্ঞতা হচ্ছে।”
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন