/indian-express-bangla/media/media_files/2025/08/13/mimi-2025-08-13-17-21-50.jpg)
কী গল্প শোনালেন মিমি?
/indian-express-bangla/media/media_files/2025/08/13/m1-2025-08-13-17-22-13.jpg)
'না, আমরা তোমাদের ডিজার্ভ করি না...' সারমেয়েদের রাস্তা থেকে সরিয়ে, শেল্টারে সরানোর কথা উঠতেই বাংলার মিমি চক্রবর্তী ঠিক এই কথাই বলেন। অভিনেত্রী একেবারেই এই সিদ্ধান্ত মানতে পারছেন না। বরং, তিনি ভীষণ বিরক্ত এই ঘটনায়। কুকুরদের সঙ্গে তাঁর অন্তরের সম্পর্ক, তাই তো বড় গল্প শোনালেন একসময়ের সংসদ।
/indian-express-bangla/media/media_files/2025/08/13/m2-2025-08-13-17-22-34.jpg)
নিজের বাড়িতেই তিনটি ফার বেবী রয়েছে তাঁর। তিন সন্তানের মধ্যে একটি ভারতীয় কুকুর আছে। তাঁদের সকলকে নিয়ে মেতে থাকেন। মিমির জীবনে এই তিনজন এমন গুরুত্বপুর্ন, যা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। এছাড়াও, যেখানেই যান, সেখানেই চারপেয়ে বাচ্চাদের বেশ আপন করে নেন মিমি। সমাজ মাধ্যমে নানা ভিডিও শেয়ার করে তিনি লিখলেন...
/indian-express-bangla/media/media_files/2025/08/13/m1-2025-08-13-17-23-00.png)
আমার মা প্রায়ই বলতেন, আমি তখন মাত্র আট বছরের ছিলাম। আমাদের পাড়ার কিছু কুকুর প্রতিদিন আমার স্কুলবাসে যেত। আমার ছোট্ট দায়িত্ব ছিল তাদের জন্য একটি বিস্কুট নিয়ে যাওয়া। মামা প্রতিদিন স্কুলে বেরোনোর আগে তাঁর দোকান থেকে আমাকে দিয়ে দিতেন। ছোটবেলা থেকেই আমি সহানুভূতি দেখে, শিখে ও অনুভব করে বড় হয়েছি। আমার স্কুলও আমাকে শিখিয়েছে, কুকুর আমাদের সেরা বন্ধু।
/indian-express-bangla/media/media_files/2025/08/13/m5-2025-08-13-17-23-28.png)
আরও বললেন, "কালু, লালু আর আরও অনেকেই প্রতিদিন আমার জন্য অপেক্ষা করত, কারণ তারা আমাকে আমার বাড়ি পর্যন্ত পৌঁছে দিত। তারা শুধু আমাকে নয়, আমাদের কলোনির প্রায় সবাইকে ভালোবাসা আর নিরাপত্তা দিত।"
/indian-express-bangla/media/media_files/2025/08/13/m3-2025-08-13-17-24-09.jpg)
আমাদের এক প্রতিবেশী, বুড়ি মাসি, ছিলেন কুকুর ও বিড়ালদের জন্য এক স্বর্গীয় আশ্রয়। তিনি শীতের সময় তাদের নিজের বাড়িতে এনে খাবার, আশ্রয় আর কম্বল দিতেন। তাঁর এই স্নেহ আজও অব্যাহত। জলপাইগুড়িতে থাকা অবস্থায়, আমি আরও কয়েকটি পথকুকুরের নাম জানতাম, তারা আমার সঙ্গে খেলত, আমি তাদের খাওয়াতাম। আমি না থাকলেও তারা আমাদের বাড়ি পাহারা দিত।
/indian-express-bangla/media/media_files/2025/08/13/m4-2025-08-13-17-24-34.png)
আজ আমার বোন দিল্লির রাস্তায় দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ করছে, মাননীয় সুপ্রিম কোর্টের সেই রায়ের বিরুদ্ধে, যা কুকুর দত্তক নেওয়া বা যত্ন নেওয়ার অধিকারকে সীমাবদ্ধ করে। এই আইন কার্যত এক ধরনের ‘কিল শো’। এখন আমাদের শুধু অপেক্ষা করা ছাড়া উপায় নেই। দেখে যেতে হবে, কিভাবে তারা ধীরে ধীরে অস্বাস্থ্যকর পাউন্ডে মারা যায়।