একদিনের জনতা কার্ফু, তারপরে আচমকাই দেশ জুড়ে লকডাউনের ঘোষণা করলেন। তবে এই সিদ্ধান্ত সকলের হৃতে হলেও কিছু মানুষ বিপদের মুখোমুখি হয়েছিলেন। পশ্চিমবঙ্গ থেকে অনেকে দক্ষিণ ভারতে যান চিকিৎসা করাতে। বাস ও ট্রেন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অনেকেই সেখান থেকে ফিরতে পারেননি।
কিছুদিন ধরেই সোশাল মিডিয়ায় ভিডিয়ো করে তাদের অসহায়তার কথা জানাতে থাকেন পরিবারগুলি। তাদের মধ্যেই ভাঙড়ের বাসিন্দা স্বপন সর্দার মিমি চক্রবর্তীর আপ্ত সহায়ক অর্ণব ভট্টাচার্যের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। প্রায় দশ জন বাঙালিকে কলকাতায় ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করেন মিমি চক্রবর্তী।
মাদুরাই কর্পোরেশনের আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেন মিমি তরপরেই রবিবার সকালে কর্পোরশনের কর্মকর্তারা মীনাক্ষী মিশন হসপিটালের লজে গিয়ে আটকে থাকা পরিবারদের সঙ্গে কথা বলেন। অবশেষে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করা হয় স্বপন সর্দার সহ বাকিদের।
মিমি জানিয়েছেন, ‘'যে অসহায় মানুষেরা চিকিৎসা করাতে গিয়ে ওখানে আটকে আছেন তাদের খাওয়া পরার কোন অভাব হবেনা।প্রয়োজনে যা টাকা পয়সা দরকার হবে আমরা সেটা পাঠাবো।আমরা ওদের পাশে আছি এবং সেই কথা শুনে আমার দলের লোকেরা অগ্রসরও হয়ে গেছে ইতিমধ্যে।''
আরও পড়ুন, কোথাও রতনবাবুর নাম ছিল না, কিন্তু আমি ওঁর পাশে দাঁড়াতে চাই: বাদশা
করোনার প্রকোপে বাড়ির বাইরে বেরোতে পারছেন না কেউই। বিশেষ করে বয়স্ক মানুষেরা। হঠাত্ করে লকডাউনের ঘোষণা হওয়ায় প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনতে পারেননি এমন অনেক মানুষ ছিল। প্রাথমিকভাবে সেই সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। সাংসদরাও নিজেদের এলাকায় কাজ করার সাধ্যমতো প্রয়াস করেছেন।
যাদপুরের তারকা সাংসদ মিমি চক্রবর্তী হোম কোয়ারেন্টিনে, তাই নিজে বেরোতে পারেননি নায়িকা। কিন্তু সময় মতো তাঁর টিমের সদস্যরা প্রয়োজনীয় সামগ্রী হাতে তুলে দিয়ে এসেছেন এলাকার মানুষদের। করোনা সচেতনা ছড়াতেও নিজের সোশাল মিডিয়া হ্যান্ডেল থেকে বহু ভিডিয়ো, মিমি ইত্যাদি বানিয়ে শেয়ার করছেন মিমি। কিন্তু এই আকালে পাওয়া যাচ্ছে না ওষুধ।
এই সমস্যারও সমাধান করেছেন মিমি। ৮৯৬৭৪৬৬৪৫৫ এই নম্বরে প্রেসক্রিপশন হোয়্যাটস অ্যাপ করলেই পাওয়া যাবে ওষুধ। মিমির টিমের সদস্যরা জোগান দেবে প্রয়োজনীয় ওষুধের।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন