রেডিও চ্যানেলের ভিডিওতে শিব সেজেছিলেন মীর। তবে পুরোদস্তুর শিবের মতো লুক না থাকলেও গলায় শুধুমাত্র সাপ ঝুলিয়েছিলেন। আর একটা ছোট্ট ঢোলক। পাশেই দুর্গাবেশে থাকা সঞ্চালিকা শ্রী। মা দুর্গার বাপের বাড়ি যাওয়া নিয়ে তাঁর সঙ্গে ঠাট্টা-তামাশা করে এক রসিক ভিডিও শুট করেছিলেন মীর আফসার আলি (Mir Afsar Ali)। আর শিব-দুর্গাকে নিয়ে এমন রসিকতা করার জন্যই মীরের ওপর বেজায় চটেছেন নেটজনতার একাংশ। সেই প্রেক্ষিতেই সপাট কটাক্ষবাণ ছুঁড়ে দিয়েছেন, "সাহস থাকে তো ইদেও মহম্মদকে নিয়ে এরকম মজার ভিডিও বানান না..।"
Advertisment
হিন্দুধর্মের দেবদেবীকে নিয়ে রসিকতা করার জন্য কট্টরপন্থীরা রক্তচক্ষু দেখাতেও ছাড়লেন না সঞ্চালক-অভিনেতাকে। কেউ বা ধর্মীয় বিষয়বস্তুকে কেন্দ্র করে ভিডিও তৈরি করার জন্য মীরের ভিডিওকে 'সস্তা' আখ্যা দিয়েছেন। কারও বা মন্তব্য, "অনেক তো হল। এবার ইসলাম, খ্রিস্টানদের নিয়েও একটু খিল্লি হয়ে যাক।" পাশাপাশি মীরকে বিঁধে কথা বলতেও ছাড়েননি তাঁরা। লিখেছেন- "যতই হোক সেক্যুলার কান্ট্রিকে রিপ্রেজেন্ট করেছেন বলে কথা। একটু মহম্মদকে নিয়েও মজার কথা আওড়ান। বাংলাতেই তো থাকেন। এমন একপেশে হলে চলে?"
দিন কয়েক আগের কথা গণেশ চতুর্থীতে শুভেচ্ছা জানিয়ে ট্রোলের শিকার হয়েছিলেন মীর আফসার আলি। যা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পরে ক্ষোভও উগরে দেন মীর। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের বিতর্কে তিনি। আসলে মানবতাই শ্রেষ্ঠ ধর্ম- একথা মনেপ্রাণে বিশ্বাস করেন মীর। তাঁর মন্তব্য, পোস্টে একাধিকবার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির কথা ফুটে উঠেছে। দুর্গাপুজো-দিওয়ালি হোক কিংবা ইদ-ক্রিস্টমাস, শুভেচ্ছা জানান বন্ধু-বান্ধব, অনুরাগীদের। মজার ভিডিও-ও শেয়ার করেন। যা দেখে নেটজনতার একাংশের কাছে ফের সমালোচনার সম্মুখীন হতে হল তাঁকে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন