Mir Afsar Ali: রাত্তিরের সাথী এমন কিছু নিয়মের উল্লেখ করেছে, যার পর থেকে ফের বাকবিতণ্ডা শুরু। নারী সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রধান উপদেষ্টা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় বিশেষ করে কর্মস্থলে মেয়েদের উদ্দেশ্যে এমন কিছু নিয়মের উল্লেখ করেছেন, যাতে ক্ষুব্ধ অনেকেই।
বিশেষ করে এই বিষয়ের ক্ষেত্রে, রাত্রিবেলা মেয়েদের শিফট কমবে। তাঁর মানে কি মেয়েদের জন্য রাত্রিবেলা সুরক্ষিত নয়? যে আওয়াজ বার বার উঠছে যে এই শহর যতটা ছেলেদের ততটাই মেয়েদের সে সব কি তাহলে ভুল? নতুন নিয়মে নিরিখে ফের বেঁধে ফেলা হচ্ছে মেয়েদের? এই নিয়ে আওয়াজ তুলেছিলেন কৌশিকি চক্রবর্তী। শিল্পী জানিয়েছিলেন এগুলো খুব ছেলে ভোলানো কথাবার্তা। নিয়ম এমন হওয়া উচিত যে কোন মানুষ যদি রাত্রি বেলা নিজের কাজ করতে বেরোয়, যেন সুষ্ঠুভাবে এবং স্বাধীনভাবে কাজটা করে আসতে পারে।
আর এবার সেই প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, অভিনেতা - বাচিক শিল্পী মীর। যা পরিস্থিতি এই সমাজের হয়ে গিয়েছে, তাতে একটু রাত করে বাড়ি ফিরলেই মা-বাবার চিন্তায় ঘুম উড়বে এ কথা খুব স্বাভাবিক। ফলে মেয়েদের রাতের শিফট করতে না-ও করবেন তাদের পরিবাররা। ঠিক এমন কিছুই উল্লেখ করে মীর বললেন, "দেখা যাচ্ছে নাইট ডিউটি, মেয়েদের জন্য আর আবশ্যিক নয়। আরজিকর কান্ডের পর প্রত্যেকটা মেয়েই চাইবে সুস্থভাবে বাড়ি ফিরতে। যদি সুরক্ষা নিশ্চিত করতে চাইবেন তারা। বেশিরভাগ মেয়েদের বাড়ি থেকেও বলবে রাতে ডিউটি না করতে। তাহলে এবার কি? যে মহিলারা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন তাদের পালা? রাত্রে মহিলা নার্স না থাকলে নিশ্চয় পুরুষ নার্সের দরকার পড়বে?"
সাধারণত মহিলা ওয়ার্ডে, পুরুষ নার্সদের প্রবেশে মানাই থাকে। সেখানে যারা রাত্রিবেলা হাসপাতালে ভর্তি থাকবেন, তাদের সুরক্ষার কথা চিন্তা করছেন মীর। তার কথায়, "এই কথা কেউ বলতে পারে যে পুরুষ নার্সের লালসার শিকার কোন রোগী মহিলা হবে না?" ফলে আতঙ্ক ক্রমাগত থেকেই যাচ্ছে।
যে হারে সমাজের প্রত্যেকটি লোক রাস্তায় নেমে এসেছেন তারা তিলোত্তমার বিচার না নিয়ে যাবেন না। চিকিৎসকদের পাশাপাশি আইটি সেক্টর, আইনজীবী থেকে নানা পেশার নানান চিন্তাধারার মানুষ শুধু মেয়েদের জন্য রাস্তায় নেমেছেন। 'বিচার এখনও পাওয়া বাকি...' তাদের মুখে একই স্বর। এবং মীর নিজেও জানিয়েছেন, সুপ্রিম কোর্টের তরফ থেকে কোন জোরালো রায় না আসা পর্যন্ত, থেমে থাকলে চলবে না। চালিয়ে যেতে হবে আন্দোলন।