মানুষের অজুহাত দেওয়ার শেষ নেই। কিন্তু এসবের পরেও প্রতিদিন খেটে কাজ করে চলেছেন বেশ কিছু যোদ্ধা, যারা প্রতিকূলতাকে জয় করে চলেছেন তড়িৎ গতিতে। এমনই এক যোদ্ধার গল্প তুলে ধরলেন সকলের কাছের মীর আফসার আলি।
Advertisment
তাঁর বাড়িতেই খাবার ডেলিভারি করতে এসেছিলেন তিলক। সুইগীতে কর্মরত তিলকের অজুহাত দেখানোর সুযোগ থাকলেও তিনি কিন্তু কর্মঠ এবং পরিশ্রমী। ডান হাত গোটা নেই ভদ্রলোকের। তারপরেও খেটে কাজ করে সৎ উপায়ে রোজগার করছেন। ভীষণ নম্র স্বভাবের এই মানুষটির ভিডিও করেই সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করলেন মীর। খাবার দিতে এসেই, মীরকে সামনে দেখে একটি সেলফি তুলতে চান তিনি.. তারপর?
মীর বললেন, "আমার এই ভাই আজকে খাবার দিতে এসে আমার সঙ্গে একটি সেলফি তুলতে চান। আমি ছবিটা তোলার পরেই ও আমায় ধন্যবাদ জানায় এবং আমি সঙ্গে সঙ্গে ডান হাতটা এগিয়ে দি..না জেনেই এটা করার পর বুঝলাম আরও অনেক কিছু আমার বলার আছে। এইকথা গুলো না বললেই নয়, যে আমাদের চারপাশে এমন অনেক মানুষ আছেন যারা কাজ করে না অজুহাত দেয়। শারীরিক প্রতিবন্ধকতাকে সামনে রেখে অনেক কিছু হয়, কিন্তু তুমি কাজ করছ। তুমি সম্মান এবং মর্যাদার সঙ্গে যে কাজ করছ, তাকে আমায় স্যালুট জানাতেই হবে। আরও অনেক মানুষের কাছে আমি তোমার এই গল্প পৌঁছে দিতে চাই।"
তথাকথিত ক্যামেরায় অভ্যেস নেই মানুষটির। চুপ করে দাঁড়িয়ে ছিলেন মীরের সামনে। শুনছিলেন মন দিয়ে সেসব কথা। এই ভিডিও শেয়ার করেই মীর লিখলেন, "ডান হাত নাকি বাম হাত কোনটা বাদ দেবেন আপনি? নাকি অজুহাত দেবেন?" মীরকে ধন্যবাদ জানিয়েই শেষে তিনি চলে গেলেন। মুখে হাসি লেগেছিল সবসময়, তাঁর এই প্রচেষ্টাকে কুর্নিশ জানিয়েছেন শিল্পী।
প্রসঙ্গত, মীরের এই প্রয়াসকে কুর্নিশ জানিয়েছেন তাঁর ভক্তরা। কেউ বলছেন, এরাই তো আমাদের অনুপ্রেরণা, আবার কেউ বলছেন মানুষের শেখা উচিত এদের থেকে। আবার কেউ বলছেন, সবাই আপনার মত হয় না দাদা, যে এত সুন্দর তথ্য তুলে ধরেন।