সন্তান জন্ম দিতে গিয়ে মায়েদের কত কি না সহ্য করতে হয়! ঠিক এমনই যেন ঘটেছিল মীরা রাজপুতের সঙ্গে। শাহিদের সন্তানের মা হতে গিয়ে যা হয়েছিল তাঁর সঙ্গে...
বিয়ের একবছর হওয়ার আগেই সন্তানের জন্ম দেন তিনি। মাত্র ২১ বছর বয়স তখন তাঁর। যথারীতি, শারীরিক দিক দিয়ে ফিট মীরা কোনোদিন ভাবেন নি, যে এইভাবে তাঁর জীবনের সবথেকে বড় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। চার মাসের অন্তঃসত্বা মীরা আল্ট্রাসাউন্ড মাধ্যমের পরেই জানতে পারেন, তিনি কত বড় বিপদে! তাঁর সন্তানের জীবন বিপদে।
মীরা বলেন, আমার যে কি হয়েছিল তখন, বলে বোঝাতে পারব না। আল্ট্রাসাউন্ড চেক করে যখন বেরোচ্ছি, দেখছি শাহিদ আর ডাক্তার আমার মুখের দিকে চেয়ে আছে। কোনও আনন্দ নেই। উনি আমায় সোজা বললেন, তুমি বসবে না! এখানে শুয়ে থাকবে তুমি। যেকোনও মুহূর্তে তোমার বাচ্চা নষ্ট হয়ে যেতে পারে। আমার তখন কী অবস্থা...? এমনও মনে আছে...
"আমি প্রায় আড়াই মাস হাসপাতালে ছিলাম। একটা ঘর, যেটা আমি কোনোদিন ভুলব না। লাগাতার আড়াই মাস আমি শুয়ে ছিলাম। কোনও কাজ আমি উঠে করিনি। শাহিদ বুঝতে পারছিল যে আমার মানসিক সমস্যা হয়ে যাচ্ছে। ও তখন ডাক্তারকে বলল, যে আমি পুরো হাসপাতালের সেটাপ বাড়িতে করে দেব। কিন্তু ওর একটু মানসিক আরাম দরকার। সেই বুঝে বাড়িও গেলাম। ঠিক এক সপ্তাহ পর আমার বাড়ির লোকেরা এল দেখা করতে। আনন্দে উত্তেজনায় আমার আবার সমস্যা দেখা দিল। তারপর? ডাক্তার বললেন, তোমায় আবার হাসপাতাল যেতে হবে। কী বলব, আমি না সেই ঘরেই ডেলিভারির জন্য গিয়েছিলাম। যেই দেখেছি, আমার মনে হচ্ছিল, আর না! এখান থেকে বেরোতে হবে।"
কিন্তু এত বাধার পর সুস্থ সবল মেয়ের জন্ম দেন তিনি। ডাক্তার নিজেও যেন বিশ্বাস করতে পারেননি। তাই তো, মীরাকে এমনও বলেছিলেন, "যে ভগবানকে বিশ্বাস করো, তাঁকে ধন্যবাদ দিও। ও মীরাক্কেল ছাড়া কিছুই না।"