অক্ষয় কুমারের ছবি মিশন মঙ্গল দ্বিতীয় দিনের শেষে আয় করেছে ৪৬.৪৪ কোটি টাকা।২০১৩ সালের নভেম্বর মাসে ‘মঙ্গলায়ন’ বা ‘মার্স অরবিটার মিশন’ (সংক্ষেপে মম)-এর কথা ঘোষণা করে ইসরো। ওই মিশনের লক্ষ্য ছিল মঙ্গলগ্রহকে প্রদক্ষিণ করবে এমন একটি উপগ্রহ পাঠানো। মার্স অরবিটারের কাজ হবে যতটা সম্ভব ওই গ্রহ সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করা। ভারতের মহাকাশবিজ্ঞানের ইতিহাসে সবচেয়ে উচ্চাকাঙ্ক্ষী প্রজেক্ট ছিল ‘মঙ্গলায়ন’। এই বিষয়ের উপরই তৈরি হয়েছে মিশন মঙ্গল।
জগন শক্তির পরিচালনায় এই ছবিতে দেখা গিয়েছে বিদ্যা বালন, তাপসী পান্নু, নিত্যা মেনন, কীর্তি কুলহারি, শরমণ যোশী, বিক্রম গোখলে এবং সোনাক্ষী সিনহা। তবে স্বাধীনতা দিবসে কেবল মিশন মঙ্গল নয় জন আব্রাহামের বাটলা হাউস-ও মুক্তি পেয়েছে।
#MissionMangal is unstoppable on Day 2 [working day after a big holiday]… Multiplexes are terrific, driving its biz… Day 3 and 4 will be massive again… Eyes ₹ 85 cr+ total in *extended* weekend… Thu 29.16 cr, Fri 17.28 cr. Total: ₹ 46.44 cr. India biz.
— taran adarsh (@taran_adarsh) August 17, 2019
আরও পড়ুন, ‘গুমনামী’-র জন্য আইনি নোটিস পেলেন সৃজিত
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের চলচ্চিত্র সমালোচক শুভ্রা গুপ্তার মতে, চরিত্রগুলির মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক এই ছবির শক্তি। কিন্তু ছবিতে বিজ্ঞানের জায়গাগুলো বড়ই দুর্বল, একেবারেই অজ্ঞদের কথা মাথায় রেখে লেখা। এবং হলিউডের চোখ-ধাঁধানো মহাকাশের ছবি দেখতে অভ্যস্ত দর্শকের কাছে এই ছবির কম্পিউটার গ্রাফিক্স কাঁচাই মনে হবে। কিন্তু কোথাও একটা সামঞ্জস্য আছে ছবির দর্শনের সঙ্গে। মনে রাখতে হবে, বিক্রম সারাভাই বা আব্দুল কালামের মতো আমাদের মহাকাশ গবেষণার পথপ্রদর্শকেরা তাঁদের যন্ত্রপাতি নিয়ে যেতেন গরুর গাড়ি করে। কাজেই ঝাঁ চকচকে গ্রাফিক্স হয়তো আমাদের ক্ষেত্রে বেমানান। বিশেষ করে যেখানে দেখানো হচ্ছে, দেশের এক শীর্ষস্থানীয় বিজ্ঞানী মঙ্গল যানে কম জ্বালানী ব্যবহারের পদ্ধতি খুঁজে বের করছেন আগুন নেভানো কড়াইয়ে ‘পুরি’ ভাজা দেখে।
অবজ্ঞার নয়, এসব দেখে স্নেহের হাসিই হাসবেন আপনি। এবং অস্বীকার করার উপায় নেই যে মহাকাশে ‘মঙ্গল যানের’ প্রথম দর্শন এবং সফলভাবে কক্ষপথে প্রবেশের পর, গর্বেও বুক ভরে উঠবে বটে। সুতরাং আজকের যুগের ‘মিঃ ইন্ডিয়ার’ সর্বময় উপস্থিতি সত্ত্বেও ‘সব মঙ্গল হ্যায়’।