কথায় বলে জহুরীর চোখ রত্ন চিনে নিতে জানে। সে যেখানেই থাকুক না কেন, আসল শিল্পীর কদর করতে পারলে তাতে দশের লাভ। অন্তত, মিঠুন চক্রবর্তীর জীবনে ঠিক এমন এক মসিহা হয়েই এসেছিলেন মৃণাল সেন।
তিনি নামজাদা পরিচালক। ভারতীয় সিনেমাকে উপহার দিয়েছেন অসংখ্য উচুঁ দরের সিনেমা। আর মিঠুনকে বেছে নেওয়ার পেছনেও তাঁর যুক্তি ছিল বেশ পাকাপোক্ত। একই কলেজের ছাত্র দুজনে। উত্তর কলকাতার স্কটিশ চার্চ কলেজের দুই প্রাক্তনী। মিঠুনের জীবন পাল্টে দিয়েছিলেন মৃণাল সেন। মহাগুরু, আজও বলেন তাঁর জীবনে আলোর রোশনাই হয়ে এসেছিলেন মৃণাল বাবু। আর আজ, এতবছর পর কলেজ ক্যাম্পাসে পা রাখতেই যেন আবারও সেইসব স্মৃতি তাজা।
আরও পড়ুন - Jawan: দেশের ভালর জন্য সবকিছু মাফ , ভোট নিয়েও বড় রাজনৈতিক বার্তা শাহরুখের
আহিরীটলার গলি থেকে মুম্বইয়ের রাজপথ। সেদিন মৃণাল বাবু না থাকলে বোধহয়, আর ডিস্কো ড্যান্সার হওয়া হয়ে উঠত না গৌরাঙ্গ চক্রবর্তীর। আজ, ফের একবার কলেজ ক্যাম্পাসে পা রাখলেন তিনি। মৃণাল সেনের শতবর্ষ উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে গিয়েই নস্টালজিক মিঠুন। মৃণাল সেনের হাত ধরে সিনেমার দুনিয়ায় আসা। সাফল্য থেকে জাতীয় পুরস্কার, রাজনীতি ছেড়ে সিলভার স্ক্রিন...কেমন ছিল সেদিন গুলো? মিঠুন বললেন...
আরও পড়ুন - প্রায়শই চড় খেতেন, ভয়ের চোটে সিনেমার স্ক্রিপ্ট পর্যন্ত পড়েন না সানি দেওল
"যার হাত ধরে আমার এই দুনিয়ায় আসা, তাঁর শতবর্ষ। অন্ধকার গলির একটা ছেলে পৃথিবী বিখ্যাত হতে পারে? হিরো হওয়ার একটা গুণ ছিল না আমার। মৃণালদা আমায় সামনে থেকেও দেখেন নি। পেছন থেকে দেখেছিলেন। আমার ভিলেন হওয়ার খুব শখ ছিল। গোঁফ লাগিয়ে ওকে ছবি পাঠিয়েছিলাম, ছিঁড়ে ফেলে দিয়েছিলেন। পরে বলেছিলেন, মৃগয়া করব! নায়ক খুঁজছি।"
তারপর, আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি মিঠুনকে। কলকাতার গৌরাঙ্গ, পাড়ি দিয়েছিলেন বোম্বে। হয়ে উঠেছিলেন সে দশকের ডান্সিং সেনসেশন। যদিও, বাংলার বুকে বারবার ফিরে এসেছেন তিনি। আজও, রীতিমতো বাংলা ছবিতে কাজ করছেন।